বিচার শেষে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতি করতে পারবে আওয়ামী লীগ: রিজভী

বিচার শেষে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতি করতে পারবে আওয়ামী লীগ: রিজভী

প্রথম নিউজ, অনলাইন : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা গণহত্যা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন, তাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হলেও বিচার নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি জনগণ ক্ষমা করে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের মধ্যে অপরাধী, তাদের বিচার নিশ্চিত করা হলে, জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়—তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
বিচারের পর জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির সুযোগ দিলে বিএনপির কিছু বলা নেই এমন মন্তব্য করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে আসবে, সে যদি ছাত্র হত্যা, অপরাধ, অর্থ লোপাট ও টাকা পাচার না করে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না? আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি-না—এমন প্রশ্ন উঠছে, অথচ এই প্রশ্ন ওঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে কি-না। কারা এই কাজ করেছে? এটা কি মানুষ দেখেনি? যারা অপরাধের সাথে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।
এসময় উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন প্রমুখ।