ফল ভোগ করছেন শেখ হাসিনা : কাদের সিদ্দিকী
প্রথম নিউজ, অনলাইন : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, এই দেশের মানুষ চায় গণতন্ত্র, চায় ভোটাধিকার, শেখ হাসিনার এই রকম ন্যক্কারজনক পতনের প্রধান কারণ- তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেন নাই। পরপর বেশ কয়েকবার মানুষকে সঠিকভাবে ভোট দিতে দেন নাই। যার ফল শেখ হাসিনা ভোগ করছেন। দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এরকমই হয়।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না। মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে এ ভুখণ্ডে পাকিস্তানের জন্ম হত না, আর পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হত না।
সেই বুজুর্গ মাওলানার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনে মানুষ খুব আশা করেছিল, কিন্তু গত এই তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পায় নাই। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তা নিয়ে তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-পুত্র পরিবার নিয়ে ভালোভাবে খেতে পারছে না।
যারা সরকার চালাচ্ছে তাদেরকে অনুরোধ করব, তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয়, আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন-দেশের মানুষকে সম্মান করুন। অতীতকে সম্মান করুন। যাদের এই দেশের জন্য অবদান আছে তাদেরকে যথাযথযোগ্য সম্মান দিয়ে রাষ্ট্র চালাবার চেষ্টা করুন।
অতীতকে বর্জন করে, অস্বীকার করে, যদি কেউ পরিবর্তনের সুফল পেতে চায়- তাহলে আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরকেও একই ফল ভোগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী একজন পীরে কামেল। এরকম অলি, এরকম জনগণের বন্ধু- এই উপমহাদেশে খুব কমই আছে। আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। মওলানা ভাসানীর ওসিলায় আল্লাহ মানুষকে শান্তিতে রাখুন।’
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।