প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে, হাত-পা বেঁধে ভারতে পাচারের অভিযোগ তরুণীর

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই কলেজযাত্রী নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রতারণার শিকার।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে, হাত-পা বেঁধে ভারতে পাচারের অভিযোগ তরুণীর
অভিযুক্ত তিলক ওরফে শুভ

প্রথম নিউজ, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে (১৯) প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন তিলক ওরফে শুভ (২৩)। পরে ওই কলেজছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই কলেজযাত্রী নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রতারণার শিকার। আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম পরিচয়ে বিয়ে করে ভারতে পাচার করেছে তিলক শুভ। একটি বাসায় আটকে রেখে আমার ওপর নির্যাতন চালায়।’

নিজেকে উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আকুতিও জানান তিনি। তিলক রায় শুভ (২৩) উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকড়ি গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে। ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার ঘোড়ার মোড়ে এক বাসায় বন্দি অবস্থায় নিজেকে উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে ওই কলেজছাত্রীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ভুক্তভোগীর বড়ভাই  বলেন, আমার বোনের সঙ্গে তিলক ওরফে শুভর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বোনকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় শুভ। সেখানে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরে আমার বোন জানতে পারে তিলক ওরফে শুভ হিন্দু। এরপর আর তাদের দেখা পাওয়া যায়নি।

বোনকে না পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য গত ৬ জানুয়ারি তিলক, তার বাবা ধনঞ্জয়, মামা গোপাল ও দুই বন্ধুসহ ৫ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দায়ের করেন। তারপরও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

এরপর একদিন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী তার (বড় ভাই) ফোনে নির্যাতনের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাঠান। সেই ফুটেজ দেখে তিনি আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে ৪ আগস্ট ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার ঘোড়ার মোড়ে গিয়ে পুলিশকে দেখালে এক বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ তিলককে আটক করে এনজেপি থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা শিলিগুড়ি থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তিনজনের নামে আমরা আদালতে চার্জশিট প্রদান করেছি। ওই কলেজছাত্রীর একটি ভিডিও আমরা দেখেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই মেয়ে ও ছেলেকে ভারত থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom