প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে নেপাল
ক্রিকেটে সোনালী সময় কাটছে নেপালের। গত মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দেশটি
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ক্রিকেটে সোনালী সময় কাটছে নেপালের। গত মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দেশটি। সেই রেশ থাকতেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে জায়গা করে নিলো নেপাল। মঙ্গলবার এসিসি মেনস প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারায় রোহিত কুমার-সন্দীপ লামিচানেরা।
বৃষ্টির কারণে ১০ দলের এসিসি মেনস প্রিমিয়ার কাপের ফাইনাল শেষ হয় দুই দিনে। নেপালের কীর্তিপুরে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে সোমবার প্রথম দিনেই কাজ এগিয়ে রাখে স্বাগতিকরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১১৭ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। মঙ্গলবার রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় নেপাল।
আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের ষোড়শ আসর। ৬ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টটি আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে খেলবে নেপাল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আফগানিস্তান এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এবারের এশিয়া কাপও হবে ওয়ানডে সংস্করণে।নেপাল এখনও পর্যন্ত ৫১টি ওয়ানডে খেলেছে। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে এখনও কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি তাদের। গত ফেব্রুয়ারিতে যখন কোচের দায়িত্ব নেন মন্টি দেশাই, আইসিসি ওয়ার্ল্ড সুপার লীগ ডিভিশন ২-এ পয়েন্ট তালিকায় নিচ থেকে দুইয়ে ছিল নেপাল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে তখন তাদের সম্ভাব্য ১২ ম্যাচের ১১টিই জিততে হতো। অবিশ্বাস্যভাবে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় নেপাল। এবার ধরা দিলো এসিসি প্রিমিয়ার কাপের অপরাজিত শিরোপা।
টস জিতে সোমবার বোলিংয়ে নামা নেপালের সেরা বোলার ছিলেন লালিত রাজবানসি। ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার কারান খাত্রি ছেত্রি, তারকা লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানে ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট। আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন আসিফ খান। আর কোনো ব্যাটসম্যান ১৫ রানও করতে পারেননি।
রান তাড়ায় নেপাল ২২ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। বিদায় নেন বড় ভরসা কুশল ভুর্তেলের সঙ্গে বিদায় নেন আরেক ওপেনার আসিফ শেখ ও অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল। তবে এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি গুলশান ঝা ও ভিম শার্কি। দুজনের ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১১৭ বল বাকি রেখে জিতে যায় নেপাল। ৬ ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন গুলশান, ৩৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন শার্কি।