প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চীনের অংশীদারিত্ব চায় বাংলাদেশ
প্রথম নিউজ, ঢাকা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চীনের অংশীদারিত্ব চেয়েছেন। আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর সব কম্পোনেন্টে চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণে অনুরোধ করেন তিনি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষ করে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের আওতায় অথবা ইআরডির মাধ্যমে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা ও নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় চীনের ভাষা অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। তিনি বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সঙ্গে গণচীনের পারস্পরিক দ্বিপক্ষীয় হৃদ্যতাপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ঐতিহ্যের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি জানান, এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আহতদের চীন চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ করে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রাইমারি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে করে বেকারত্বের হার হ্রাস পাবে ও নিত্যনতুন কর্মসংস্থান সৃজন হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি খাতে দক্ষ হয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ সমাপ্তির পথে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর সব কম্পোনেন্টে চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণে অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, অতিরিক্ত সচিব এম সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান, চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর কালচারাল লি সাওপেঙ উপস্থিত ছিলেন।