পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক, একই পরিবারের ৪ জন অচেতন!
ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
প্রথম নিউজ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হঠাৎ করে একই পরিবারের চার সদস্য অচেতন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১৯ মে) গুরুতর অবস্থায় একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলার বিদ্যাবাগিশ ধারিয়ার পাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার গনেশ চন্দ্রের ছেলে র্নিমল চন্দ্র (৪৫), তার স্ত্রী পিতিলতা (৩৮), ছেলে স্বপন চন্দ্র (৫০) ও আত্মীয় চিনুবালা (৫৫)। তারা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে আর তাদের জ্ঞান না ফেরায় পরিবারের বাকি সদস্যরা তাদেরকে অচেতন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই এলাকার আনিসুর রহমান জানান, সংঘবদ্ধ একটি চক্র সন্ধ্যার আগে ওই বাড়িতে কৌশলে পানির ট্যাঙ্কের ভেতর চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা রাতে পানি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। কিন্তু কোনো কারণে চোর চক্র ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যেতে পারেনি।
কিছুদিন আগে ফুলবাড়ী আর্দশ স্কুলের পাশে, নাওডাঙ্গা ব্রীজের পার, ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ পাড়ায় একইভাবে পরিবারের সদস্যদেরকে পানিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে চোরের দল। অচেতন র্নিমলের ভাগ্নে জয়ন্ত কুমার রায় জানান, পানির ট্যাঙ্কের ভেতর চেতনানাশক ওষুধের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডা. নুশরাত জাহান জানান, আহতদের চিকিৎসা চলছে। তাদের শরীরে চেতনানাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারা এখনো স্বাভাবিক হননি। ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জানার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।