পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ১৩ জনের মৃত্যু, আহত ৯২

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ১৩ জনের মৃত্যু, আহত ৯২

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  পাকিস্তানের  জনবহুল পাঞ্জাব প্রদেশে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরো ৯২ জন। গতকাল শনিবার (২৪ মে) প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় দুর্বল ও জরাজীর্ণ ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তান টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ো বাতাসে একটি কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। এ ছাড়া বজ্রপাতের ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং রাজধানী ইসলামাবাদে ভয়াবহ ঝড় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে একটি আবহাওয়া সতর্কতা জারি করে। 

শনিবার সন্ধ্যার দিকে ইসলামাবাদ ও খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির ঘটনা ঘটে।
সোয়াত অঞ্চলে প্রবল বর্ষণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায় এবং কিছু এলাকায় শিলা পড়ার খবর পাওয়া যায়।

পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি, শিয়ালকোট, ঝেলাম এবং লাহোরসহ বিভিন্ন শহরে ঝড়ো বাতাসের কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু মহাসড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

লাহোরে গাছ ভেঙে পড়া এবং সৌর প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অনেক স্থানে কাঁচা ঘর এবং পুরাতন ইটের বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে পিডিএমএ।

পিডিএমএ’র প্রধান পরিচালক ইরফান আলী কাথিয়া জানান, সব জেলায় জরুরি অপারেশন সেন্টার চালু করা হয়েছে এবং প্রাদেশিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাদেশিক প্রশাসনের নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ঝুলন্ত তার থেকে দূরে থাকতে নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।