নির্বাচনী রোডম্যাপ ও উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি
ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রথম নিউজ, অনলাইন: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ, আওয়ামী লীগের বিচার ও তিন উপদেষ্টাকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বৈঠকে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা। এছাড়া বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায়নি বলেও জানায় দলটির প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে শনিবার (২৪ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এ কথা বলেন বিএনপির প্রতিনিধিরা।
এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। তারা জানান, বিএনপির প্রস্তাবগুলো লিখিত আকারে দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সাক্ষাৎ করেছেন জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু আমাদের আগে জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে আমরা লিখিত বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছি।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেজন্য আওয়ামী লীগের বিচার বেশি দাবি করে বিএনপি। এই বিচার প্রক্রিয়া অস্পূর্ণ থাকলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করবে।
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত রোডম্যাপের দাবি উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলমান অবস্থায়ই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রতিনিধিরা।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যার বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান থাকবে বলেও জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি জানান, বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি। বরং প্রথম দিন থেকেই এ সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে বিএনপি।
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা- যাদের কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদেরকে বাদ দেওয়ার কথা বলে এসেছি।