পাকিস্তানে কয়লাখনির মালিকানা নিয়ে সংঘাত, নিহত ১৫

পাকিস্তানে একটি কয়লা খনির মালিকানা নিয়ে দুই উপজাতি গোত্রের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন

পাকিস্তানে কয়লাখনির মালিকানা নিয়ে সংঘাত, নিহত ১৫

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পাকিস্তানে একটি কয়লা খনির মালিকানা নিয়ে দুই উপজাতি গোত্রের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। মঙ্গলবার দেশটির উত্তর পশ্চিামাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার দারা আদম খেল জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা।  

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত আছে। দারা আদম খেল জেলার পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার খান মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, পাক-আফগান সীমান্তবর্তী এই জেলাটিতে ২০১৯ সালে একটি কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়। শুরু থেকেই দারা আদম খেলের দুই প্রভাবশালী উপজাতি গোত্র সুন্নি খেল ও জারঘুন খেল এই খনির একক মালিকানা দাবি করে আসছে। এই দাবিতে দুই গোত্রের মধ্যে শত্রুতার শুরুও হয় ওই বছর থেকেই।


মুনাওয়ার বলেন, এই দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার সকালের দিকে খনির সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে সুন্নি খেল এবং জারঘুন খেলের যোদ্ধাদের মধ্যে। যোদ্ধারা সবার হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল এবং পিস্তল-রিভলবার জাতীয় ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি-সংঘাত চলার পর অবশেষে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আহতদের ফেলে রেখে এলে সুন্নি খেল ও জারঘুন খেলের যোদ্ধারা পালিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে— উল্লেখ করে ওয়াশিংটন পোস্টকে মুনাওয়ার বলেন, সংঘাতে উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি এলাকা মূলত বিভিন্ন উপজাতীয় গোত্র অধ্যুষিত এলাকা। এসব গোত্রের প্রায় সবই পাঠান উপজাতির বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা।


একসময় এসব গোত্র পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকলেও গত কয়েক দশক ধরে তা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তার ওপর কয়লা খনি বা এ ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা নিয়ে গোত্র বা গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বেশ বিরল বর্তমান পাকিস্তানে।

পাকিস্তানের কয়লা খনিগুলোর বেশিরভাগই ‍উত্তরপশ্চিামাঞ্চলীয় প্রদেধশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে অবস্থিত। সরকারি মালিকানার পাশাপাশি বেসরকারি মালিকানাও স্বীকৃত এসব খনির ক্ষেত্রে। কয়েক লাখ শ্রমিক এসব খনিতে কাজ করেন।