প্রথম নিউজ, অনলাইন: খা, পাকিস্তান সেনাবাহিনী খা! ক্ষুব্ধ জনতা লাহোর সেনানিবাসে কোর কমান্ডার(লেফটেন্যান্ট জেনারেল)-এর বাড়িতে হামলা করে অগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।পুরো স্টাফ হাউজ ভাঙচুর করেছে। কোয়েটার সেনানিবাসে হামলা চালিয়েছে।এমনকি কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা সেনা সদর দপ্তর-জিএইচকিউতেও হামলা চালিয়েছে,লাঠি দিয়ে বিল্ডিংয়ের গায়ে আঘাত করেছে,ক্ষোভে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। ভাবা যায়?কোন ভারতীয় সেনা নয়,পাকিস্তানের জনগণ! বীর বাহাদুর পাক সেনাদের দল কোন দিশা পাচ্ছে না।কোর কমান্ডারের বাসা দখল করে বসে আছে জনগণ! আলহামদুলিল্লাহ।শোকর,হাজার শোকর। সমাজের সামরিকায়নের ফল ভোগ কর। একসময় আইএসআই ইমরান খানের দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য সবকিছু করেছে। কিন্তু সবসময় খেলতে গিয়ে,মাতব্বরি করতে গিয়ে এবার ধরা খাচ্ছে। ব্যাটারা মনে করে সেনারাই সব। সব জায়গায় সেনা, তাদের কথায় সব হতে হবে।এখন হওয়া দেখি।
এমন সব দেশে সেনাবাহিনীই জাতীয় নিরাপত্তা ধ্বংস করে। কয়েকদিন অগে এটাই বলেছিলাম। তখন কতোজনের কতো চুলকানি। সেনাবাহিনী রাজনীতির বাইরে থাকবে। দেশের সার্বভৌমত্ব দেখবে। মাতব্বরি করে নিজেদের এলিট বানাবে না। জনগণ তা পছন্দ করে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের জনগণের উচিত ছিল তাদের সেনাবাহিনীকে এখনকার মতো ধোলাই দেয়া। অন্যদেরও শেখার অছে বহু কিছু...জনগণের উপর মাতব্বরি করা চলবে না, শুধু নিজেদের স্বার্থে সবাইকে ব্ল্যাকমেইল করা চলবে না, রাজনীতিবিদদের মধ্যে গন্ডগোল লাগানো চলবে না... গোয়েন্দা সংস্থায় গিয়ে রাজনৈতিক ক্যাডার হওয়া বন্ধ করতে হবে...এলিট হওয়ার খায়েশ বন্ধ করতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে। মার্শাল ল দিয়ে লাভ নেই। সবচেয়ে ভালো হয় সেনাবাহিনী উঠিয়ে দেয়া। কারন, এরাই পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে ধ্বংস করছে।যাদের শেখার তাদের শেখা উচিত। দূরে থাকো রাজনীিতি থেকে। পোশাকের বেইজ্জত করো না...ওটা পবিত্র,কোন রাজনৈতিক দলের নয়, সব জনগণের।
আবু রূশদ: লেখক, সাংবাদিক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সম্পাদক: ডিফেন্স জার্নাল (ফেইসবুক ওয়াল থেকে)