নাসায় চাকরি পেলেন নীলফামারীর এরশাদ

২৯ বছরের যুবক এরশাদ কবির চয়ন জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মো. খতিব উদ্দিন সরকারের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ২০২০ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন।

নাসায় চাকরি পেলেন নীলফামারীর এরশাদ
এরশাদ কবির চয়ন

প্রথম নিউজ, নীলফামারী: যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নাসা) চাকরি পেয়েছেন নীলফামারীর ছেলে এরশাদ কবির চয়ন। নাসায় তথ্য প্রকৌশলী (ডাটা ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে ৭ মার্চ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। তিনি ভার্জিনিয়ার আরলিংটনে দায়িত্ব পালন করবেন।

২৯ বছরের যুবক এরশাদ কবির চয়ন জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মো. খতিব উদ্দিন সরকারের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ২০২০ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাইভারসিটি ভিসায় (ডিভি) সুযোগ পেয়ে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় যান এরশাদের বাবা খতিব উদ্দীন সরকার। পরে ২০০১ সালে সাত বছরের ছেলে এরশাদসহ স্ত্রী অফিজা খাতুনকে নিয়ে যান বেনসালেম শহরে। এরপর এরশাদকে ভর্তি করান সেখানকার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে।

স্কুল গ্র্যাজুয়েশনে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনি ১০ম অবস্থানে ছিলেন। এরপর এরশাদ আর্কেডিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ফিলাডেলফিয়া থেকে ২০১৬ সালে বিজ্ঞানে স্নাতক করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এডুকেয়ার নামে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খতিব উদ্দিন সরকার বলেন, ছেলের এমন অর্জন নিশ্চয়ই গর্বের বিষয়। আরও আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। ছোট থেকেই সে অনেক মেধাবী। স্কুল গ্র্যাজুয়েশনের সময় ফুল স্কলারশিপে কম খরচে লেখাপড়া করেছে সে। ছেলের স্বপ্ন ছিল সে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু আমি তাকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছিলাম একবছরের মতো সেখানে ক্লাসও করেছে। এরপর তার সেখানে ভালো না লাগায় আর্কেডিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ফিলাডেলফিয়া থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom