নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হত্যাচেষ্টা মামলা ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ মে
প্রথম নিউজ, ঢাকা : নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ (সোমবার) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শাহরিয়ার আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন— ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।
এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।