নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘরের বন্দী’ জিতলো গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড

শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ খবর দিয়েছে সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যমটি। 

নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘরের বন্দী’ জিতলো গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক বিশ্বের সর্ববৃহৎ সম্মেলন ‘গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে’ মর্যাদাপূর্ণ গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘরের বন্দী’। ছোট ও মাঝারি সংবাদমাধ্যমের ক্যাটাগরিতে নেত্র নিউজ জিতেছে ‘সার্টিফিকেট অব এক্সেলেন্স’ পুরস্কার। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ খবর দিয়েছে সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যমটি। 

ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, এই দ্বিবার্ষিক সম্মেলনটির এবারের সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছে সুইডেনের গোথেনবার্গ শহরে। ১৩৫টি দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক’ বা জিআইজেএন এই সম্মেলনটি আয়োজন করে থাকে। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দুই হাজারেরও বেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবারের সম্মেলনে যোগ দেন।

২০০৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশ বিষয়ক সংবাদমাধ্যম এ পুরস্কারটি পেল। নেত্র নিউজের ওই তথ্যচিত্র সম্পর্কে এক বিচারক বলেন, এই প্রতিবেদনটি যেকোনো মানদণ্ডেই বাংলাদেশি সাংবাদিকতার সবচেয়ে সাহসী উদাহরণ। বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে একই পুরস্কার পেয়েছেন ইউক্রেনের রেডিও লিবার্টির একদল সাংবাদিক, যারা রাশিয়ার দখল থেকে মুক্ত হওয়া একটি অঞ্চলে একটি গণকবরের সন্ধান পান। 

বিশ্বের ৮৪টি দেশ থেকে জমা পড়া ৪০০টিরও অধিক আবেদন থেকে বিচারকরা ১২টি প্রতিবেদনকে ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচন করেন। সেখান থেকে দুইটি ক্যাটাগরিতে তিনটি করে প্রতিবেদনকে সম্মেলনে পুরস্কৃত করা হয়। নেত্র নিউজ ছাড়া ছোট ও মাঝারি ক্যাটাগরিতে দুই যৌথ পুরস্কার বিজয়ী প্রতিবেদন ছিলো মেসিডেনিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং ল্যাবের করা ‘ব্যাড ব্লাড’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভিউ ফাইন্ডারের করা ‘অ্যাভোব দ্য ল’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন। 

পোস্টে জানানো হয়, নেত্র নিউজের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল ও সাংবাদিক নাজমুল আহসান। সাংবাদিক জুলকারনাইন সামি ও ডেভিড বার্গম্যানসহ মোট আট জন সাংবাদিক প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন।