দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।

প্রথম নিউজ,পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের মাত্রা। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমালয়ের বাতাস বাড়তে থাকে। সকালে সূর্যের দেখা না মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা আলো দেখা যায়। তবে সূর্যের আলো স্থায়ী থাকে না। শীতের দাপটে মানুষ গরম কাপড়ের আশ্রয় নিয়েছে। বিত্তবানরা গরম কাপড় সংগ্রহ করতে পারলেও নিম্নবিত্তের মানুষরা শীত নিবারণের জন্য ছুটছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রতি শীত মৌসুমে জেলায় শীতের প্রকোপ ও তীব্রতা বেশি থাকে। চলতি মৌসুমেও জেলায় কনকনে শীত অনূভুত হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১১-৯ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তবে দিন দিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে জানানো হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসন জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যােগ নিয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ২১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা ওঠানামা করায় দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীত মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।