দুর্বল ময়নাতদন্তে ‘হত্যা’ হয়ে যায় ‘আত্মহত্যা-অপমৃত্যু’

সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি প্রতিবেদনের কারণে ২৩টি আত্মহত্যা বা অপমৃত্যুর ঘটনা পরবর্তীসময়ে হত্যা বলে চিহ্নিত হয়েছে।

দুর্বল ময়নাতদন্তে ‘হত্যা’ হয়ে যায় ‘আত্মহত্যা-অপমৃত্যু’

প্রথম নিউজ, ঢাকা:  যে কোনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অত্যন্ত জরুরি। মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ বা ধারণা পাওয়া যায় এতে। সঠিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য রয়েছে অনেকগুলো ‘ফ্যাক্ট’। যেমন মরদেহ ফ্রিজিং করা হলে মৃত্যুর সময় জানতে সমস্যা হয়। সঠিক পদ্ধতিতে যথাযথ নমুনা সংরক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একই সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট লোকবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি একান্ত প্রয়োজন। সবগুলোতেই আমাদের রয়েছে ঘাটতি। যে কারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে অনেক সময় মেলে না মৃত্যুর সঠিক কারণ। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি প্রতিবেদনের কারণে ২৩টি আত্মহত্যা বা অপমৃত্যুর ঘটনা পরবর্তীসময়ে হত্যা বলে চিহ্নিত হয়েছে।

যা আছে আইনে
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৭৪(৩) মোতাবেক পুলিশ সন্দেহজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৫০৯/৫০৯(এ)তে সিভিল সার্জন অথবা মেডিকেল অফিসারের সাক্ষ্যের বিধান রাখা হয়েছে। ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারায় মামলার বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়ার বিধান আছে। এতে বোঝা যায়, হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া যায় না। হত্যা না আত্মহত্যা জানতে অপরাধীকে শনাক্ত করা, অপরাধ প্রমাণ করা, মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় জানা- সব মিলিয়ে বিচার কার্যক্রমের জন্যই ময়নাতদন্তের সঠিক প্রতিবেদন জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের ঘাটতি, মর্গের অব্যবস্থাপনাসহ নানান কারণে ময়নাতদন্তের ভুল প্রতিবেদন আসে। এতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয় ভুক্তভোগীর পরিবার।

‘আত্মহত্যা-অপমৃত্যু’ পিবিআইর তদন্তে ‘হত্যা’

২০০৬ সালের আগস্টে ময়মনসিংহের নান্দাইলে আব্দুর রাশিদ নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, রাশিদ আত্মহত্যা করেছেন। নান্দাইল মডেল থানায় করা হয় একটি অপমৃত্যু মামলা। পরে পুলিশও তদন্ত করে জানায়, এটি আত্মহত্যা। অথচ ১১ বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে বের করেছে আত্মহত্যা নয়, আব্দুর রাশিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালে রংপুরের পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নে প্রেমের সম্পর্ক কেন্দ্র করে হত্যার শিকার হন নয়ন (১৮) নামে এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজন তাকে হত্যা করে মরদেহ রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে ঘটনাকে ট্রেন দুর্ঘটনা হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে। নয়নের বাবা বাদী হয়ে বোনারপাড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত হয়। ময়নাতদন্ত ও পুলিশের প্রতিবেদনে আত্মহত্যা ও রেল দুর্ঘটনায় অপমৃত্যু উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু পরে পিবিআইয়ের তদন্তে এটি হত্যাকাণ্ড বলে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

চলতি বছরের জুন মাসে পিবিআই একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে আত্মহত্যা বা অপমৃত্যুর ২৩টি মামলায় পরে হত্যাকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা পায় সংস্থাটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চারটি মামলা মুন্সিগঞ্জের। ভুল ময়নাতদন্তের নানান তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তৈরি করা এ প্রতিবেদনটি পুলিশ হেডকোয়াটার্সে পাঠিয়েছে পিবিআই। সেখান থেকে পাঠানো হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

ফরেনসিকের যত সমস্যা
চট্টগ্রাম মহানগরের কামাল মাঝির (৪৫) আট মাসের পুরোনো মরদেহ লালমোহন থানার অধীন থেকে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়। সেখানে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মরদেহটি নেওয়া হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে। এ বিভাগের দায়িত্বরত প্রভাষক ছাড়া কোনো পদে কেউ কর্মরত না থাকায় মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য অন্য কোনো মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীসময়ে পিবিআই মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়।

পিবিআই বলছে, দেশের প্রায় সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে ঘাটতি, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এছাড়া জেলা হাসপাতালসহ অনেক মেডিকেল কলেজেও প্রয়োজনের তুলনায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। ফরেনসিক বিষয়ে বিশেষায়িত, আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের অপ্রতুলতা, বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক চিকিৎসকের তুলনায় মরদেহের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময়ের অভাবে তড়িঘড়ি করে দ্রুত ময়নাতদন্ত কাজ সম্পন্ন করা, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ মানসম্মত অবকাঠামো না থাকা, জটিল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মৃতের মরদেহের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন না করে ময়নাতদন্ত করা, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য আলামত যথাযথভাবে সংরক্ষণ সুবিধা না থাকা, সাক্ষী দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অনীহা, প্রতিবেদন পাঠানোয় অস্বাভাবিক বিলম্ব করা, নমুনা রাখার কনটেইনার, প্রিজারভেটিভ ও কেমিক্যাল সরবরাহ, নিম্নমানের ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণসহ নানান সমস্যা রয়েছে। ফলে অনেক আলামতই নষ্ট হয়ে যায়।

ঢাকার তিন মেডিকেল কলেজে হয় ময়নাতদন্ত

ঢাকায় তিনটি মেডিকেল কলেজে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো মর্গ হচ্ছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। এখানে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অন্তত ২০টি থানার মরদেহ আসে। মেডিকেল কলেজটিতে যেখানে ১০ জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন সেখানে রয়েছেন মাত্র তিনজন। নেই পর্যাপ্ত সহযোগীও। যে কয়জন আছেন তারাও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এই চিত্র প্রায় সব মেডিকেল কলেজেই। বর্তমানে দেশে ৩৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আছেন ৫০ জনেরও কম। অথচ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও সারাদেশে যতগুলো সরকারি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন দুইশর বেশি।

হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে অনেক ক্ষেত্রেই সময় অনেক বড় সূত্র বা মুখ্য বিষয় হতে পারে। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, অনভিজ্ঞতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ প্রায় সব কলেজে মর্গেই বিকেল ৫টার পর আসা মরদেহ সেদিন ময়নাতদন্ত না হয়ে পরদিন করা হয়।

‘সময়ে’ বিনাশ মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ

রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানকে সাত মাস আগে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ধরন স্পষ্ট হলেও খুনের ‘সম্ভাব্য সময়’ তদন্ত করেও জানা যায়নি। অনেকটা অপারগ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসক সাবিরার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হয় বিকেলে। মর্গের ফ্রিজে সংরক্ষণের পরদিন ময়নাতদন্ত করা হয়। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষায় অনেক সময় মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানা যায়। কিন্তু সাবিরার মরদেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করায় তা সম্ভব হয়নি।

রাসায়নিক ও ডিএনএ পরীক্ষায় সীমাবদ্ধতা

মরদেহের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি হত্যার ধরন বের করা যায় রাসায়নিক পরীক্ষা ও ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করেও। নানান সীমাবদ্ধতায় অনেক সময় সেটি করাও সম্ভব হয় না। ২০১৬ সালের এপ্রিলে একটি আবাসিক হোটেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও তার বান্ধবী সুমাইয়া নাসরিনকে ধর্ষণের পর বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। অথচ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিজান আত্মহত্যা করেছেন। আর সুমাইয়াকে ধর্ষণের বিষয়টি ডিএনএ টেস্টে উঠে আসেনি। পরে পিবিআই তদন্ত করে পায় যে তাদের দুজনকেই হত্যা করা হয়েছে।

যা বলছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা

২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিনকে হত্যা করা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা মো. আ. করিম বলেন, থানা থেকে প্রথমে ভুল প্রতিবেদন দেয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে। সেখান থেকে তদন্তে বের হয় আমার মেয়ে খুন হয়েছে। এতে তদন্ত প্রতিবেদন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। মামলার তদন্ত এখনো চলছে। তদন্ত শেষ করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ কবে হবে জানি না। তবে দ্রুত শেষ হলে খুশি হবো।

পিবিআইয়ের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের ফরেনসিক বিষয়ে বিশেষায়িত, আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের অপ্রতুলতা রয়েছে। তারা ডোমের ওপর নির্ভর করেন। মর্গে অবকাঠামো, আধুনিক যন্ত্রপাতি, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা না থাকায় ময়নাতদন্ত ভুল হচ্ছে। সাবিরা হত্যা মামলার তদন্তে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় জানা জরুরি ছিল। জানা গেলে তদন্ত কাজে একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া যেত। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই চিকিৎসকের মতামতের বাইরে গিয়ে পুলিশের তদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে অনেক ক্ষেত্রেই হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ফরেনসিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, লোকবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, সময় নির্ধারণের যন্ত্র, প্রয়োজনে বোর্ড গঠন, স্বয়ংসম্পূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা, মর্গ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।

ময়নাতদন্তের বিষয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। একই সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, সহযোগীসহ লোকবলের অভাব রয়েছে। উন্নত বিশ্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করে সবগুলোর সমন্বয় করে ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনেকটাই সঠিক হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সুযোগ থাকে না। পুলিশের কাছে যে আলামত সংগ্রহ থাকে সেগুলোও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। এছাড়া মরদেহগুলো যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে সেগুলো সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় আলামত নষ্ট হয়ে যায়, পচে যায়। ফলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও দ্য মেডিকোলিগ্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০-৩৫ জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আছেন। প্রতিটি মেডিকেল কলেজে ন্যূনতম পাঁচজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দরকার। অনেক মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞই নেই। ময়নাতদন্তের জন্য পরিবেশ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষজ্ঞ, সহযোগীর (ডোম) অভাব রয়েছে। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে তিনজন বিশেষজ্ঞ আছেন। অথচ এখানে ১০ জন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।

ময়নাতদন্তের ভুল হওয়া নিয়ে তদন্ত সংস্থার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, দু-একটি ময়নাতদন্তে ভুল এটা উন্নত দেশেও হয়। অধিকাংশই সঠিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সুযোগ না থাকা এবং পুলিশ যে আলামত ও তথ্য দেওয়ার কথা অনেক সময় সেগুলো আমরাও পাই না। সবকিছু মিলিয়ে যখন আলামত ও তথ্যের ঘাটতি থাকে তখনই ভুলগুলো হয়। শুধু একটা গলার দাগ দেখে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। একটি দলগত কাজ। এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির পাশাপাশি ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা দরকার। উন্নত বিশ্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এতে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। সব তথ্য মিলিয়ে ময়নাতদন্ত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি নির্ভুল প্রতিবেদন হয়তো পাওয়া যাবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom