দুর্নীতিতে ফেঁসে যাচ্ছেন নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ড. মাসুরা বেগমের সই করা এক নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পসহ নানা ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ফেঁসে যেতে পারেন নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন সাদেক। তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ড. মাসুরা বেগমের সই করা এক নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ২০১১ সালের উপজেলা পরিষদ আইন লঙ্ঘন করে তার নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসমাম ট্রেডার্সের নামে বিভিন্ন সরকারি টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে আসছেন। তিনি (সাদেক) ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ বরাদ্দকরণ, গ্রিন ভিলেজ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ক্ষমতার জোরে বাগিয়ে নিয়ে তা সম্পাদন করেননি। এছাড়া সেসব প্রকল্পের জন্য সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন। যা উপজেলা পরিষদ আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
এছাড়া সরকারের বরাদ্দ দেওয়া টি,আর ও কাবিখাসহ জেলা পরিষদের অনেক প্রকল্পের টাকা নামমাত্র কাজ করেই আত্মসাৎ করেন ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক। এছাড়া সাদেক তার নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইসমাম ট্রেডার্সের নামে প্রাইমারি স্কুলের পুরাতন ভবন ক্রয় এবং গবাদি পশুর প্রকল্পও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ বাগিয়ে নেন। এছাড়া স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মোটা অঙ্কের বিভিন্ন কাজ ও সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন। যা ২০১১ সালের উপজেলা পরিষদ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ড. মাসুরা বেগম বলেন, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার বিভাগকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।