দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল বিএনপির প্রত্যাখ্যান 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল বিএনপির প্রত্যাখ্যান 

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

আজ বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,শেখ হাসিনার নির্দেশে অতীতের মতোই আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য মেরুদন্ডহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা আমরা চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা, জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর্যুপরি আহ্বান উপেক্ষা করে নিশিরাতের সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তামাশার তফসিল ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে অতীতের মতোই আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য মেরুদন্ডহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা আমরা চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হাসিনা মার্কা একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফসিল-রঙ্গ জনগন মানে না। এই নীলনক্সার নির্বাচনের তফসিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল- বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারো হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হবে। এই সঙ্কটের কারণে আওয়ামী মাফিয়া চক্রকে চিরকাল দায়ী থাকতে হবে। জনগনের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরো তীব্র, আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী নাৎসী সরকারের পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার করবে জনগন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথাতো ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামীপূর্ণ এবং মেকী। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ^াস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।

তিনি বলেন, পর পর তিনটি ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে সম্পূর্ন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে রেখে আওয়ামীলীগ গত ১৫ বছর দেশকে নরকপুরীতে ও জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনে পিষ্ঠ মানুষ তাদের ভোট ও ভাতের অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরে পেতে মরনপন লড়াইয়ে রাজপথে নেমেছে। জনগন ১৫ বছরের অত্যাচারের জবাব দিতে ঘুরে দাড়িঁয়েছে। এই স্বৈরাচারী সরকার পতনের অতল গহ্বরের মুখে দাড়িয়ে দেশকে নিশ্চিত সংঘাতের দিকে ধাবিত করে পূণরায় গরু-ছাগল দিয়ে নির্বাচনের পায়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ব্যাতিত দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল একতরফা নির্বাচনের বিরোধীতা করছে। কার জন্য এই নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে? মানুষ রাজপথে নেমেছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী, ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের দাবী। এই দাবীকে বন্দুকের নলের মুখে উড়িয়ে দিয়ে এক তরফা পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনা। আর এই নির্বাচন কমিশন সব জেনে-শুনেই দেশকে এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দিতে তফসিল ঘোষণা করলো। কারণ বর্তমান কমিশন নিশিরাতের ভোটের সরকারের মনোনীত সিলেকশন কমিশন। তারা আওয়ামী লীগের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জনগণের কেউ নন। এই কমিশনকে কেউ মানে না। নির্বাচন কমিশন মূলত আওয়ামী কমিশন। আজ শেরে বাংলা নগরে আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার সন্ত্রাসী বাহিনীর পাহারা এবং রায়টকার, জলকামান, সজোয়া যান নিয়ে শত শত পুলিশ র‌্যাব-বিজিবি বেষ্টিত ইসি ভবনে বসে আওয়ামী চেতনার নিশান বরদার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সিলেকশন ভোটের তফসিল ঘোষণা করে গোটা দেশকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করলো। অতীতে রাকিব- হুদা কমিশনের মতোই কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দলদাসত্বের চরম পরাকাষ্ট প্রদর্শন করে গণশত্রুতে পরিণত হলো। তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি অগ্রহণযোগ্য, একপেশে, প্রশ্নবিদ্ধ, বিরোধপূর্ণ নির্বাচনের চরম ধৃষ্টতা দেখানোর যে ঝুঁকি নিলো জনগণ এর পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেখ হাসিনা ভেবেছেন তার পা চাটা গোলামদের দিয়ে একটি পাতানো ভোট রঙ্গ মঞ্চস্থ করবেন। কিন্তু তার জেনে রাখা উচিত এটা ২০১৪ কিংবা ২০১৮ নয়। তফসিল দিলেন আর পুলিশী ভোটের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করে ক্ষমতার সিংহাসন রক্ষা করলেন, এতো সহজ নয়। নির্বাচনের একটা ঘোষণা দিলেন, আর নির্বাচন হয়ে গেল! এই দিবা স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হবে নির্বাচন। এই সব তফসিল-টপসিল বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেবে জনতা। রাজপথের দিকে তাকিয়ে দেখেন। গোটা দেশ অচল হয়ে গেছে। অবরোধে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ঢাকা। আপনার সমস্ত পোশাকী-অপোষাকী রক্ষী বাহিনী-লেঠেল বাহিনী নামিয়েও কিছুই করতে পারছেন না। কিভাবে পারবেন -বাংলাদেশের জনগন একদিকে আর আপনি আর আপনার লাঠিয়াল বাহিনী একদিকে। সাথে আছে কিছু পাইক পেয়াদা-নফর-চাপরাশি। তাঁরাও জনগনের আন্দোলনে আত্মসমর্পন করবে। এই উর্মিমুখর জনতরঙ্গ রুখবার ক্ষমতা আপনার নেই। কান পেতে পতনের বুলন্দ আওয়াজ শোনেন। বিদায়ের রাগিণী বাজছে। ক্রমে ঘনিয়ে আসছে অন্তিম সময়

সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা, মামলা ওগ্রেফতারের বিবরণ ঃ

মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদান ঃ

 ২০১৮ সালে কামরাঙ্গীচর থানার একটি মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফারসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আজ ২ বছরের ফরমায়েশী রায়ে সাজা প্রদান করে আদালত। আমি এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই ফরমায়েশী সাজা বাতিলের জোর আহবান করছি।

গ্রেফতার ঃ

ক্স বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

ক্স গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মইনুল হাসান সাদিককে আজ ভোরে এবং ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারকে আজ সকালে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি দিপু সরকার এবং পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টুটুল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মোঃ জুলফিকার হোসেন, চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শামীম আহমেদ, যুবদল নেতা মোঃ মহোরম আলী, কালীচরণ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আকরাম হোসেন, সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলীয়ার রহমান, সরুপপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ আল মামুন, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান, সাবেক ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন ও হাকিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ কালু মন্ডলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স গাজীপুর জেলা যুবদলের সদস্য ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক মেম্বার রমজান আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

ক্স মানিকগঞ্জ জেলাধীন হরিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক ইরফান মাহবুব এবং গজারিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাদি ইসলাম বাবুসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স চট্টগ্রাম জেলার করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক রেজাউল করিম ও মাদানী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুসলিম উদ্দিনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমল বিকাশ ত্রিপুরা, ৬ নং পৌর ওয়ার্ড যুবদলে আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য চয়ন ত্রিপুরা, রানা ত্রিপুরা, পৌর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব মুক্তার হোসেন ও ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলহাস মিয়া ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স নোয়াখালী জেলাধীন কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ রিজন, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আরাফাত মিজি ও পাঁচগাও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রকিসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

ক্স সিলেট মহানগর জাসাসের সদস্য মুক্তাদির আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইয়ুব আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বুলবুল আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মহুবার রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ, সদস্য লিমন, বকুল, কল্যাণী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য নাছির মেম্বারসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গাইবান্ধা জেলার সোনারায় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ঃ কক্সবাজার জেলাধীন চকোরিয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন লাল্টু, ঈদগাঁও উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোকতার আহমেদ, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রুবেল হোসেন, চিরিংগা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি বেলাল হোসেন, ভালুকা উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিছুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর রহমান শ্যামল, গাজীপর জেলা শ্রমিকদলের সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন দারুস সালাম থানা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব মোঃ মহাব্বত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহম্মেদ, সদস্য- কাজী মিঠু, সাব্বির আহম্মেদ, মোঃ শিবলী হোসেন, মোঃ ফেরদৌস ও বিমানবন্দর থানা শ্রমিকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নুর ইসলামসহ প্রায় ৩৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ক্স জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঃ রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহাদ হাসান আবির, খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল-আমিন হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি হুসাইন মোঃ অন্তর, খুলনা জেলাধীন পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাদ্দাম, দূর্গাপুর পৌর ছাত্রদল নেতা মোঃ নাজমুল, থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন মায়া, চকবাজার থানাধীন ২৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক চয়ন আহমেদ, ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল নেতা সুজনসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তানভীর হাসান শান্ত কিডনি সমস্য জনিত কারণে অসুস্থ্য থাকাবস্থায় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

ক্স জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঃ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সদস্য মোঃ মঈনুদ্দিন, চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, হাজিগঞ্জ পৌর কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম মিয়া, যশোর জেলাধীন অভয়নগর থানা কৃষকদলের সদস্য কামরুল ইসলাম, অভয়নগর পৌর কৃষকদলের সদস্য মোঃ তক্কেল সরদার, মোঃ ফারুক হোসেন, মোংলা পৌর কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা, চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি জয়নাল মোল্লা, ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য মোঃ কামরুল ইসলামসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ক্স জয়পুরহাট জেলাধীন ভাদশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সার্জেন্ট ফরিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

মামলা, হামলা ও আহত ঃ

ক্স নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য দেওয়ান শাহিনের বাসায় আজ সকাল ১০ টায় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় তার বাসায় ঢুকে শাহিনের মা-বোন ও আশেপাশের প্রতিবেশীদেরকেও অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে বলে যে যেখানে শাহিনকে পাবো গুলি করে মারবো। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা আবার শাহিনের শশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার শশুর-শাশুড়িকে অস্ত্র ঠেকিয়ে একই কথা বলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

ক্স বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম এর মালিকানাধীন বাগেরহাট জেলার নিউমার্কেটের দোকানে আজ সকালে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তালা মেরে দোকান সিলগালা করে দিয়েছে।

ক্স গাজীপুর মহানগর তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক ও টংগী পূর্ব থানা তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতিক উল্লাহ মিন্টুর বাসায় গতরাত ৩ ঘটিকার সময় সাদা পোশকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫/১৬ জনের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে যায়। তাৎক্ষনিক সে খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে তিন তলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গিয়ে তার একহাত ও পা ভেঙ্গে যায়। এদিকে ডিবি পুলিশ তাকে না পেয়ে তার ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়।

ক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানকে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আজ পূণরায় ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীধারা নিখোঁজ থাকা ছাত্রদল নেতাদের জনসম্মুখে হাজির করা, মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং আহতদের সুস্থ্যতা কামনা ও গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।

 এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের

মোট গ্রেফতার : ৩৪৫ জনের অধীক নেতাকর্মী।

মোট মামলা : ০৯ টি

মোট আসামী : ১১৩৫ জনের অধীক নেতাকর্মী (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)

মোট আহত : ২৫ জনের অধীক নেতাকর্মী।

 ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন পূর্ব থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মোট

 

গ্রেফতার : ১২০১৫ জনের অধীন নেতাকর্মী

মোট মামলা : ২৬৯ টির অধিক

মোট আহত : ৪০৫৬ জনের অধিক নেতাকর্মী

মৃত্যু : ১৩ জন (সাংবাদিক ১ জন)  

 গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ-

মোট গ্রেফতার : ১৪৯৯৬ জন

মোট মামলা : ৬৬২ টির অধিক

মোট আসামী : ৫৪১১৩ জন

মোট আহত : ৬১৪৭ জনের অধীক নেতাকর্মী                                                          

মোট মৃত্যু : ১৩ জন (সাংবাদিক ০১ জন)

মিথ্যা মামলায় সাজা : মোট ১৮টি মামলায়ঃ ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রায় ১৩৫ জনের

                               অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।