ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন প্রথমবারের মতো ঘরে বসে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবীণরা
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ঘরে বসেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ত্রিপুরার প্রবীণ ভোটররা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ঘরে বসেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ত্রিপুরার প্রবীণ ভোটররা। নিজের ঘরে বসে ভোটদানের এমন সুযোগ রাজ্যবাসী এর আগে আর কখনোই পায়নি। বিষয়টি মূলত সম্ভব হয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কারণে।
জানা যায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের আটটি জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ভোটের কাজে নিযুক্ত বিভিন্ন পুলকর্মী থেকে শুরু করে সুরক্ষাকর্মী ও অন্যান্য স্তরের কর্মীদের জন্য বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই শুরু হয় পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের কাজ।
ত্রিপুরার মোট ২৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কাজ শুরু হয় এদিন, যা চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপরই ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মূল ভোটপর্ব।
জানা যায়, সবগুলো জেলা মিলে ভোটার রয়েছেন প্রায় ২৯ লাখের কাছাকাছি। তাদের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ভোটার। অন্যদিকে, ১৫ হাজারের কাছাকাছি রয়েছেন ৮০ ঊর্ধ্ব নাগরিক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি।
সুনির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করার মাধ্যমে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এ প্রক্রিয়াটিও ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের নির্বাচনেই আশি ঊর্ধ নাগরিক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সেসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবার তাদের ভোট আগে থেকেই নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, প্রচারণার আরও পাঁচদিন বাকি থাকতেই ওপেনিং পুল ও এক্সিট পুল নিয়ে কড়া হয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্তে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের সংবাদ মাধ্যম, এমনকি সামাজিক মাধ্যমকেও বেশকিছু কেন্দ্রীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এটি পুরোপুরি ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে শুক্রবারই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়েছে। কিরণ গিত্তে আরও জানান, নির্বাচনের আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়কে প্রচার চালানো যাবে।