ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম নিউজ,অনলাইন: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘর্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়:
১. উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ২৪(এল) ধারার ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
২. আজ ১৭ জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক হল/হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল/হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলো। পরবর্তীতে হল খোলার পর মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে। বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
৪। বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হলো।
এর আগে গতকাল রাত ১১টায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।