Ad0111

ডিজেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি যৌক্তিক : অর্থমন্ত্রী

রেভিনিউ জোগান দিতে না পারলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না। আমরা পিছিয়ে যাবো, আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না।

ডিজেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি যৌক্তিক : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ডিজেলের দাম বাড়ায় ট্রাক, বাস, লঞ্চসহ অন্যান্য গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের উপর এই চাপকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

করোনায় মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে, চাকরি হারিয়েছে, পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে ডিজেলের দাম বাড়ায় ট্রাক, বাস, লঞ্চসহ নানা জায়গায় ভাড়া বেড়েছে। জনগণের ওপর এই চাপ দেওয়াটা কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুরোটাই যৌক্তিক। সরকার কোত্থেকে টাকা পাবে? রেভিনিউ অর্জন করেই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও সরকার যতটুকু সম্ভব এটা সামঞ্জস্য করে দেয়।

তিনি বলেন, ভালো দিক দেখবেন না, তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি? আমাদের সরকার বাড়িয়েছে? কোনো জাহাজে যদি করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে সেই জাহাজ কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে জাহাজ চলতে পারে না, মাসের পর মাস সাগরে আটকে আছে; সেই চার্জ শিপিং কোম্পানিকে করা হয়। চার্জগুলো সব একত্র হয়ে পুরো চার্জটা আমরা পাই।

ডিজিলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ পড়বে, এর কোনো বিকল্প ছিল কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করি। যখন দাম কমে আমরা দাম কমাই, যখন বাড়ে বাড়াই। এখন কি পরিমাণ দাম বেড়েছে সেটা জানেন? আগামী মিটিংয়ে আমরা আপনাদের জানাবো গত দুই বছর কী পরিমাণ বেড়েছে? আমরা কতটা বাড়িয়েছি। আপনারা তাহলে বুঝতে পারবেন সরকার কতটা বহন করতে পারে। যারা ভোক্তা, কিছুটা তাদের বহন করতে হবে। আপনাদের বুঝতে হবে এখনকার দাম কত। বাকিটা সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। 

বিপিসি ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, কিন্তু জ্বালানির দাম কমেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার টাকা নিয়ে কী করবে? এই যে সেফটিনেট প্রকল্পগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা প্রিন্ট করে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। এগুলো তো শেয়ার করতে হয়। তারপরও সরকার যতটুকু পারে শেয়ারিং করে। সামান্য যেটা না হলে নয় সেটা ভোক্তার ওপর দেই।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির হিসাবে ১০ শতাংশ ভাড়া বাড়ার কথা থাকলেও ২৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আমাকে দেখতে হবে। আমি দেখে জবাব দেবো। আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাদের খরচ কত, চার্জ কত করেছে সেটি আলোচনা করে জানাবো।

বাসভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বির্বেচনার দাবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে আমাকে জানতে হবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ। আমি যদি দেখি কোনো ভিত্তি ছাড়া দাম বাড়ানো হয়েছে, সেটা বিবেচনা করার অবশ্যই সুযোগ রয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম যখন আন্তর্জাতিক বাজারে কম ছিলে সেই সুবিধা কি আমরা সবাই পাইনি? সবাই সুবিধা পেয়েছে। এখন দাম বেড়েছে, কী পরিমাণ বেড়েছে নেটে গেলে পাবেন। আমরা তেল উৎপাদন করি না, আমরা ভোক্তা। আমরা রিসিভিং করি, আমাদের এখানে হাত দেওয়াও সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করবো যে পরিমাণ বাড়বে সে পরিমাণ যেনো আমাদের ভোক্তারা সহ্য করতে পারেন সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা হবে। আমি একজন নাগরিক ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি বলছি।

তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবেও আমার দায়িত্ব আছে। আমাকে রেভিনিউ জোগান দিতে হয়। রেভিনিউ জোগান দিতে না পারলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না। আমরা পিছিয়ে যাবো, আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। আমরা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কাজটি করবো। আমরা শেয়ার করবো, যতক্ষণ পারবে সরকার বহন করবে। সরকার বহন না করতে পারলে আপনারা জানতে পারবেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news