ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতায় ৩ দিন লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি

আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০—৩০ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতায় ৩ দিন লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতায় আগামীকাল থেকে ৩ দিন ঢাকাসহ সকল মহানগরে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি।

আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।  তিনি জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতার জন্য আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর হতে ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী ঢাকাসহ সকল মহানগরে লিফলেট বিতরণ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০—৩০ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু কমছে না। এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগ সারাবছর ব্যাপী আক্রান্ত করে, বর্ষা ও শরৎ মৌসুমে এর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমের হিসাবানুযায়ী—গত জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজারেরও অধিক। বিশ^ স্বাস্থ্যসংস্থার পর্যালোচনাতে বলছে যে, ৫৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে পেঁৗছার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করছে। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার কোন লক্ষণ নেই। আরও কিছুদিন এই রোগের বিস্তার হতে পারে বলে স্বাস্থ্যবিদরা মনে করছেন। আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা না কমলে মৃত্যুর সংখ্যাও কমবে না। বারবার এই ভয়াবহ রোগের পুনরাবৃত্তি হওয়া সত্বেও সরকারের আগাম কোন সতর্কতা বা পূর্বাভাস দেয়া ও প্রতিরোধের কোন চেষ্টা করা হয়নি। এই প্রাণবিনাশী রোগ প্রতিরোধে সরকারের আগাম প্রস্তুতি থাকলে বর্তমানে মহামারী পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। দেশে দেশেই ফ্যাসিস্ট সরকার’রা জনগণের প্রাণের তোয়াক্কা করে না। নিজেদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার জন্যই বরং জনতার লাশের সারি বিস্তৃত করে। এ বছর বিস্ময়কর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ ঐ রোগ প্রতিরোধে সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। এই রোগ নির্নয়ে নিম্নমানের কীট ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদির কারণে রোগীদের বেহাল দশা। প্রতিদিনই এত রোগী বাড়ছে যে, হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে না। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের মানবদরদী সত্তার অভাবের কারণেই জনগণের জীবন আজ সবচেয়ে ঝঁুকির মধ্যে। এই শোচনীয় অবস্থার জন্য অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ও তাদের সাঙ্গ—পাঙ্গরাই দায়ী। 

তিনি বলেন, কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী শাসনের ভিত্তি হলো—বলপ্রয়োগ ও ভয় উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য তৈরী করেছেন নিষ্ঠুর ধ্বংসের পথ। মানুষের বেঁচে থাকা বা স্বাভাবিক জীবন—যাপনকে প্রধানমন্ত্রী মোটেই পছন্দ করেন না। আওয়ামী লীগ নেতাদের শুধুই লুটপাটের কাহিনীর পাশাপাশি মেগা প্রজেক্টের নামে তেলেসমাতির কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। বিশে^র সকল স্বৈরশাসকের মতোই কিছু ফ্লাইওভার দেখালেই তারা মনে করে মানুষের দুঃখ—কষ্ট, ব্যাথা—বেদনা সেরে যাবে। কিন্তু জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে মানুষকে রোগব্যাধির মধ্যে নিপতিত করে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ লোকজন জনগণের টাকাকে খোলামকুচিতে পরিণত করে বিত্ত—বৈভবের পাহাড় গড়েছে। যার নতুন নতুন কাহিনী প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে ২৫২ কর্মকর্তার ইউরোপ—আমেরিকায় প্রাসাদসম বাড়ীর এখন ‘টক অব দি মান্থ’। আর এদিকে সারাদেশ ডেঙ্গুতে কাতরাচ্ছে। এই অবৈধ সরকার বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ও টিআইবি যে সুপারিশ করেছে তাও মানছে না। মানুষ বাঁচাতে এদের কোন মাথাব্যাথা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডাঃ পারভেজ রেজা কাকন, বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।