টাকা ছিনিয়ে নিতে অধ্যাপক সাইদাকে হত্যা করেন কন্ট্রাক্টর আনারুল
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই অধ্যাপকের নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
প্রথম নিউজ,গাজীপুর: টাকা-পয়সা লুট করতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা গাফফারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কন্ট্রাক্টর আনারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে একটি ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই অধ্যাপকের নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির। অধ্যাপক সাইদা গাফফার ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তার মালিকানাধীন প্লটে বাড়ি করার জন্য প্রকল্প সংলগ্ন দক্ষিণ পানিশাইল মোশারফ মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকেই বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন। সেখান থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে মরদেহটি পাওয়া গেছে।
এর আগে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সাইদা গাফফারের নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আনারুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি অধ্যাপক সাইদার হাতে টাকা দেখে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তিনি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল।
নিহত সাইদা গাফফারের স্বামী মৃত জহিরুল হক। তার ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির ঢাকার উত্তরার পশ্চিম থানার ১২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এবং একজন দেশে থাকেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: