টিউশনির আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ও স্থানীয় ঘোনাপাড়া মোড়ের থাই ইন চাই রেস্টুরেন্টের পরিচালক।

টিউশনির আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি
টিউশনির আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

প্রথম নিউজ, গোপালগঞ্জ : টিউশনির প্রলোভন দেখিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের স্থানীয় আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ও স্থানীয় ঘোনাপাড়া মোড়ের থাই ইন চাই রেস্টুরেন্টের পরিচালক। গত শুক্রবার বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে টিউশনির কথা বলে শহরের নবীনবাগ এলাকায় তার বাসায় ডেকে নেন আলমগীর। পরে ওই বাসায় যাওয়ার পরে সে তাকে একাধিক বার ধর্ষণের চেষ্টা করে। জানা গেছে, এর আগে আলমগীর ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে ধরে তার সন্তানকে পড়ানোর কথা বলে শহরের নবিনবাগ এলাকায় তার বাসায় আসতে বলে। পরে বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রী রুমে ঢুকলে দরজা আটকে দেয় আলমগীর।

বাসায় পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে না দেখে তিনি বের হওয়ার কথা বললে অভিযুক্ত ব্যক্তি অসম্মতি জানায়। পরে ওই ছাত্রীর পরনের পোশাক ছিঁড়ে কয়েক দফায় ধর্ষণের চেষ্টা করতে যায়। পরে একপর্যায়ে নামাজের কথা বলে ওই শিক্ষার্থী তাকে জায়নামাজ আনতে বলেন। পরে অন্য রুমে গেলে বাইর থেকে দ্রুত দরজা আটকে দেয় ওই ছাত্রী। পরে তার চেঁচামেচি শুনে পাশের বাসার একজন দরজা খুলে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। সেসময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার শিক্ষক ও বন্ধুদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থানার শরণাপন্ন হন। এ সময় তারা গভীর রাত পর্যন্ত থানায় অবস্থান করেন। ভুক্তভোগীর দাবি, ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। বারবার জোরাজুরি সত্ত্বেও তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি অভিযুক্ত আলমগীর।

পরে বের হয়ে দ্রুত শিক্ষক ও সহপাঠীদের জানান। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায় অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার প্রায়ই টিউশনি নিয়ে কথা হতো। তাকে আমার সঙ্গে বাসায় বা রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথাও বলেছি। কিন্তু এখন আমাকে ফাঁসাতে ধর্ষণের অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। তবে ফাঁকা বাসায় কেন তাকে ডেকেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বারবার এড়িয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে টানার চেষ্টা করেন। এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর ওইদিন মধ্যরাতে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের পক্ষে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

এতে ঘটনার সার্বিক বিষয় উল্লেখ করে প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মামলা এজাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে গতকাল রাতে থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: