জিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের শুরু: নজরুল ইসলাম

সোমবার বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের শুরু: নজরুল ইসলাম

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ কৃষি, তৈরি পোশাক, প্রবাসী আয় এই তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যার ভিত্তি রচনা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের উন্নয়নে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কৃষির সমৃদ্ধির জন্য তিনি খাল ও নদী পুনঃখনন ও গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করেন। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নানামুখী প্রকল্প নিয়েছিলেন। এভাবে আল্লাহর মেহেরবাণীতে দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় এমনকি গিনিতে চাল রপ্তানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নের শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই। 

সোমবার বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেছিলেন। তিনি পল্লি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ এই দেশে একসময় মানুষ ডাস্টবিনে পশুর সঙ্গে খাবার খেত। কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছিল। 

কিন্তু এক শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তিনি সকল কলকারখানা পর্যায়ক্রমে চালুর মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাকে দেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে এখনও হচ্ছে। এসময় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজ করার ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের উচিৎ জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা। কিন্তু তারা নির্লজ্জের মতো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছে। ঋণ দিয়ে তিনি গার্মেন্টস শিল্প চালু করেছিলেন। বেকারত্ব দূর করতে নানা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার কর্মী পাঠিয়ে তিনি প্রথম প্রবাসী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম। ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. আশফাক নবী কনকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, ড্যাবের সহসভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদুর রহমান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা, এ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার, ডা. এমএ কামাল, ডা. জাহানারা লাইজু প্রমুখ।