জামিনে বের হয়েই উখিয়ায় নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পালংখালীর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে মারজানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জামিনে বের হয়েই উখিয়ায় নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামিনে বের হয়েই লুল আল মারজান (৪৫) নামে এক নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পালংখালীর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে মারজানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারজান উপজেলার পালংখালী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত মোহাম্মদ আলমগীরের মেয়ে। তিনি পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি এবং ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ড থেকে গত দুটি ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউসুফ নিহত মারজানের আপন চাচাতো ভাই। মারজানের ছোট মেয়ে রাহমিনা মমতাজ জানান, এশার নামাজের পর তাদের বাড়িতে অতর্কিত প্রবেশ করে ইউসুফ তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় উপস্থিত তার দুই বোন, এক ভাগ্নে ইউসুফের কোপে আহত হন। এ ছাড়া হত্যার আগে নিহত মারজানকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে খুনে অভিযুক্ত ইউফের বিরুদ্ধে। তাই অনেকের ধারণা, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইউসুফ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে মারজানের বাবা আলমগীর মেম্বারকে হত্যা করে ইউসুফের বাবা জাহাঙ্গীর।  স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মারজান ও ইউসুফের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ২৪ বছর আগে মারজানের বাবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল ইউসুফের পরিবার। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয় ইউসুফ। দুদিন আগে জামিনে বেরিয়ে এসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে কাজ করছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত ইউসুফের বাড়িতে আগুন দেন স্থানীয় জনতা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।