জাতিসংঘে কাশ্মীর নিয়ে যা বললেন এরদোগান

তুরস্ক হিসেবে আমরা এই বিষয়ে (জম্মু-কাশ্মীর) গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করতে থাকব।

জাতিসংঘে কাশ্মীর নিয়ে যা বললেন এরদোগান

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ৭৮তম অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তুর্কি নেতা তার ভাষণে বলেন, ‘আরেকটি বিষয়, যা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে। আর তা হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাশ্মীরে একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা।’

এরদোগান বলেন, তুরস্ক হিসেবে আমরা এই বিষয়ে (জম্মু-কাশ্মীর) গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করতে থাকব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে চলতি মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করেন এরদোগান। তার কয়েক সপ্তাহ পরই জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা বাণিজ্য ও অবকাঠামো সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

এরদোগান আরও বলেন, এটি গর্বের বিষয় যে ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভূমিকা পালন করছে। তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী এবং ১৫ অস্থায়ী সদস্য দেশকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে করার পক্ষে কথা বলেন। এনডিটিভি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কি নেতা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কাশ্মীর ইস্যুটির উল্লেখ করে আসছেন।

গত বছরও এরদোগান উচ্চ-স্তরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান ৭৫ বছর আগে তাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার পরও এখনও তারা একে অপরের মধ্যে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এটা অনেক দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি, দোয়া করি যে, কাশ্মীরে একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।’

এর আগে ২০২০ সালে এরদোগান সাধারণ পরিষদের বিতর্কে তার পূর্বে রেকর্ড করা ভিডিও বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। ভারত তখন এটিকে ‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছিল এবং বলেছিল, তুরস্কের উচিত অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে শেখা এবং তার নিজস্ব নীতির প্রতি আরও গভীরভাবে চিন্তা করা।