চাঁদে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে নাসা
আমেরিকা প্রথম চাঁদে মহাকাশচারী পাঠিয়েছে। আগামী দিনে আবার নাসার হাত ধরেই চাঁদে পা রাখার পরিকল্পনা করছে মানুষ।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: চাঁদের বুকে ছুটে চলেছে ট্রেন। হ্যাঁ, ভাবতে অবাক লাগলেও সেরকম পরিকল্পনাই করছে নাসা। পৃথিবীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। আমেরিকা প্রথম চাঁদে মহাকাশচারী পাঠিয়েছে। আগামী দিনে আবার নাসার হাত ধরেই চাঁদে পা রাখার পরিকল্পনা করছে মানুষ। নাসা সম্পূর্ণ নতুন এক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে যা বিজ্ঞানী মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, চাঁদে তারা আস্ত রেলস্টেশন তৈরি করতে আগ্রহী। সেই মতো ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে।
নাসা চায় মানুষ যাতে চাঁদের বুকে দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করতে পারে। তবে পৃথিবীর মতো রেলের দুটি ট্র্যাক থাকবে না সেখানে। চাঁদে গবেষণার প্রয়োজনেই রেললাইন বসানোর কথা ভেবেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।তারা জানিয়েছে, চাঁদের ট্রেনে বহন করা হবে বিভিন্ন পেলোড। গল্ফ বগিগুলি বর্তমানে অল্প সংখ্যক লোকের জন্য পরিবহনের একটি ভাল মাধ্যম হতে পারে। কিন্তু চাঁদে বৃহৎ জনসংখ্যা পরিবহন এবং খনির ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না। এর জন্য বড় পরিবহন প্রয়োজন। ফ্লোট নামে একটি নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এটি চাঁদে মিশনের সময় নভোচারীদের জন্য একটি পেলোড বিতরণ বিকল্প সরবরাহ করবে। চুম্বক চালিত এই রেলপথের অর্থায়ন বাড়িয়েছে নাসা।
এই পরিকল্পনাটি একটি কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্রের মতো। ফ্লোট মানে ট্র্যাকে নমনীয় লেভিটেশন। এই প্রকল্পটি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী, নমনীয় ত্রিস্তরীয় ফিল্ম ট্র্যাক পেতে দেওয়া হবে চাঁদের মাটিতে। তাতে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে পেলোড পরিবহণের বন্দোবস্ত করা হবে। ‘ফ্লোট’-এ ব্যবহৃত রোবটগুলির মধ্যে আলাদা করে কোনও চলমান অংশ থাকবে না। সেগুলি শুধু ফিল্ম ট্র্যাকের উপরে ভাসবে। চাঁদের মাটির ধুলোবালি সরিয়ে দেবে এই রোবট। চন্দ্র রেল ব্যবস্থা আগামী দশকের মধ্যে চালু হতে পারে। এটি চাঁদে নির্ভরযোগ্য, স্বয়ংক্রিয় এবং দক্ষ পেলোড পরিবহন সরবরাহ করবে। এটি পৃষ্ঠের চারপাশে রেগোলিথ (চন্দ্রের মাটি) পরিবহনে ভূমিকা পালন করতে পারে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে