চট্টগ্রামে কারাবন্দী দুজন পুলিশ বক্সে হামলার আসামি

১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা পুলিশ বক্সে হামলা–ভাঙচুর করেছেন বলে পুলিশ মামলায় উল্লেখ করেছে।

চট্টগ্রামে কারাবন্দী দুজন পুলিশ বক্সে হামলার আসামি

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা পুলিশ বক্সে হামলা–ভাঙচুর করেছেন বলে পুলিশ মামলায় উল্লেখ করেছে। অথচ এই দুজনকে পুলিশ দুই দিন আগেই অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নগরের মুরাদপুরে তিনজন নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন। এ ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করে। এগুলোর একটি হত্যা মামলা। পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক দেওয়ান সাড়ে ছয় হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি আসামি করে ১৭ জুলাই হত্যা মামলাটি করেন। ওই দিনই কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জমির উদ্দিনকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই দিন বিকেলেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই ইমাম হোসেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এই দুই নেতাসহ ৬৩ জনকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠান। পুলিশের আবেদনে বলা হয়, তাঁরা জামিনে বেরিয়ে গেলে পুনরায় শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

১৭ জুলাই থেকে তাঁরা কারাগারে, তাহলে ১৯ জুলাই কীভাবে পুলিশ বক্সে হামলা করলেন? জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলাগুলোতে আসামি অনেক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৯ জুলাই নগরের আন্দরকিল্লা থেকে বের করা একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে নগরের নিউমার্কেট ও কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে তিনটিসহ চারটি মামলা হয়। তিনটি মামলায় ৬০ জন করে নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় চার–পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়। তিনটি মামলায় নাম উল্লেখ করে এজাহারভুক্ত আসামি একই। তবে ধারা ভিন্ন।

j