ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ পরিবারটির কেউ বেঁচে রইলো না
ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও
প্রথম নিউজ, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে দুই সন্তান, স্বামীর পর স্ত্রী শান্তা খানমও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শান্তা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির কাওসার খানের স্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা খানমের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন খান (৫) ওফাতেমা নোহরা খানমের (৩) মৃত্যু হয়। পরে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী কাউসার খানের মৃত্যু হয়।
শান্তা খানমের স্বামী কাওসার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন।
শনিবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাওসার খান (৩৭)। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার ছেলে ইয়াসিন খান (৬) ও মেয়ে ফাতেমা নোহরা খানম (৩)। তার স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে শান্তা খানমও মারা যান।
শনিবার সন্ধ্যায় কাওসার খানের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায় তার মরদেহ আনা হয়। আগের দিন আনা হয় তার দুই সন্তানের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার আনা হচ্ছে শান্তা খানমের মরদেহ। গোরস্থানে তিনজনের সঙ্গে শান্তাকেও পাশাপাশি কবর দেওয়া হবে।
নিহত কাওসার খানের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, চাকরির সুবাদে ১০ বছর ধরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত কাউসার। কাউসার আবুল খায়ের গ্রুপে রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত।
তিনি বলেন, কীভাবে কী হয়েছে আমরা এখনও সঠিক জানতে পারিনি। আমাদের পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেল। সরকারের কাছে আমি এর ক্ষতি পূরণ চাই।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: