প্রথম নিউজ, ডেস্ক: কেস স্টাডি- জেনারেল মোস্তাফিজ ও জেনারেল ইবরাহিম:::
কয়েকদিন আগে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের মেয়ে ইন্না শারমিন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা সম্পর্কে। সেখানে সে দু:খ করে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে। মে.জেনারেল ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠ একজন অফিসার তাঁর পুত্রের বিয়েতে উনাকে দাওয়াত দেন সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে।কিন্তু কয়েকদিন পর খুব লজ্জিত কন্ঠে তিনি ইন্নাকে অবহিত করেন যে, জে. ইবরাহিমের নিরাপত্তা
ক্লিয়ারেন্স হয়নি। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে নিরাপত্তার জন্য হুমকী বা অনাকাংখিত মনে করে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সেনাকুঞ্জে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উক্ত অফিসার অত্যন্ত লজ্জায় ইন্নাকে অনুরোধ করেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী জে.ইবরাহিমকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার জন্য। সাধারণ জনগন হয়তো জানেন না যে সেনাকুঞ্জের কোন অনুষ্ঠানে যাদের দাওয়াত দেয়া হয় তাদের তালিকা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে অর্থাৎ ডিজিএফআইতে পাঠাতে হয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার জন্য। সেখান থেকে অনুমতি মিললেই কেবল আমন্ত্রিত অতিথি সেখানে যোগদান করতে পারেন। তবে সরকারি দলের নেতা,পাতি নেতা, চাই কি ছাত্র সংগঠনের কোন কর্মী, ইউনিয়ন লেভেলের ‘মহারথী’র জন্য এসবের কোন বালাই নেই। তারা সেখানে যেতেই পারেন। কারন, দেশটা, চাইকি সেনাকুঞ্জটাও তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো। সশস্ত্র বাহিনী দিবসেও তাই আমরা শাহেদ,পাপিয়াসহ বহু ‘মহারথী’দের নিশ্চিন্তে দেখতে পাই। জানি না সত্তর উর্ধ জেনারেল ইবরাহিম,বীর প্রতীক কিভাবে সেনাকুঞ্জের নিরাপত্তার জন্য হুমকী হতে পারেন? যিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন ও অসম সাহসিকতার জন্য বীর প্রতীক পদক লাভ করেছিলেন। তিনি যদি ডিজিএফআইয়ের ক্বরিতকর্মা কর্তাদের কাছে অপাংক্তেয় হন তাহলে আমাদের সার্বিক প্রশিক্ষন ও মোটিভেশনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এরও আগে একবার জেনারেল ইবরাহিমকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে মাঝপথ থেকে গোয়েন্দা কর্তারা সরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। জেনারেল ইবরাহিম রাজনীতি করেন। কিন্তু যেই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সেই গনতন্ত্রে রাজনীতি জায়েজ, যদি না তা দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষতিসাধন করে। জেনারেল ইবরাহিম তাঁর এই শেষ বয়সে এসে এভাবে একের পর এক অপমান অপদস্থ হয়ে এটাই প্রমান করলেন যে তাঁরা যে আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন সেই আশাটাকে কতিপয় অতি উৎসাহী,বাচাল ধ্বংসের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে।
শুধু কি জেনারেল ইবরাহিমের ক্ষেত্রেই এমন ঘটেছে? না।মিলিটারি একাডেমিতে আমার ঘনিষ্ট কোর্সমেট ও প্লাটুন মেট ছিল ওয়াকার। তিনি এখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। একাডেমির জাহাঙ্গীর কোম্পানিতে তৃতীয় টার্মে থাকাকালে আমি কর্পোরাল ও ওয়াকার ল্যান্স কর্পোরাল হিসাবে একই প্লাটুন কমান্ড করেছি। ফাইনাল টার্মে ওঠার পর আমি আন্ডার অফিসার হিসাবে নিয়োগ পাই,ওয়াকার গ্রহন করে কোম্পানি কোয়ার্টার মাস্টার সার্জেন্ট-সিকিউএমএস-এর দায়িত্ব। ছুটির দিন শহরে আমরা একত্রে যেমন যেতাম, তেমনি ঢাকাতে এসেও ঘুরে বেড়াতাম। তাঁর শ্বশুর ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, বীর বিক্রম।ওয়াকার তাঁর মেয়েকে বিয়ে করেছে এটা ওয়াকারের দোষের কিছু নয়। ১৯৯৬ সালে মেজর জেনারেল মোস্তাফিজকে এনএসআইয়ের মহাপরিচালক নিযুক্ত করা হয়। সেসময় আমি একটি দৈনিকে সহকারী সম্পাদক হিসাবে কাজ করছিলাম। তারপরও মাঝে মাঝে বিশেষ কিছু রিপোর্ট করতে হতো। এমনি একটি রিপোর্টের শিরোণাম ছিল-‘ শেখ হাসিনার ফুফা জে.মোস্তাফিজ সেনাপ্রধান হচ্ছেন’। তখন এটা নিয়ে দারুন শোরগোল হলেও সবাই রিপোর্টটিকে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন এই যুক্তিতে যে মে.জে.মোস্তাফিজ তখন অবসরে চলে গেছেন ও এল পি আর কাটাচ্ছেন। তাঁকে কিভাবে সেনাপ্রধান করা হবে? যাহোক, রিপোর্টটি প্রকাশের পর আমাকে ভর্ৎসনা করেছিলেন জে.মোস্তাফিজ,তবে কোন ক্ষতি করেননি। এরপর ঠিকই তিনি সেনাপ্রধান হলেন। দোষে গুনে মানুষ। মিলিটারি অফিসারও তার ব্যতিক্রম নয়। জে.মোস্তাফিজ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ কিছু ভাল কাজ করেছিলেন। তবে তিনি অবসরে গিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন পাবলকলি। আমি সেসবের সমালোচনা করে রিপোর্ট করি। ২১ অগাস্ট ২০০৪ সালে ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরনের পর তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যা ছিল আরো বিতর্কিত। আমি তাঁকে ফোন করি। যথাযথ সম্মান রেখেই বলি-স্যার, আপনি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন তাই আমাদের উৎপাত সহ্য করতে হবে। কিন্তু সেনাপ্রধান হিসাবে আপনার সম্মান আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।
ইতোমধ্যে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কয়েকজন অতি বিএনপি ও হাইপার তৎপর গোয়েন্দা কর্মকর্তা বুদ্ধি বের করেন যে জেনারেল মোস্তাফিজকে কিছু একটা দেখিয়ে দিতে হবে।তাঁর সম্পর্কে ডাউস ফাইল তৈরি করে সকল সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এমনকি তাঁর প্রাপ্য সিএমএইচে চিকিৎসা সুবিধাদিও বাতিল করা হয়। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় যে তিনি যেন এক মহা অপরাধী,মাফিয়া গোছের কিছু! সেনানিবাসে গেলে বিএনপি সরকার পড়ে যাবে! এসময় তাঁর মেয়ে মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ছিল। পাসিং আউটের সময় এলে তিনি বহু অনুরোধ করেন তাঁকে সেখানে যেতে দেয়ার জন্য। তাঁর অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি। এরপর এলো ওয়ান ইলেভেনের চিচিং ফাক! জেনারেল মোস্তাফিজকে আসামী করা হলো কোন এক কেসের। তিনি তখন খুবই অসুস্থ ও একটি বেসামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু অতি তৎপর কর্তাদের তো দেখাতেই হবে তারা দেশে খোলেফায়ে রাশেদিনের জমানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই হাতে স্যালাইনের নল লাগানো, হুইল চেয়ারে বসা বৃদ্ধ জেনারেল মোস্তাফিজকে আদালতে হাজির করা হয়। এই হাজির না করলে দুনিয়া যেন ধ্বংস হয়ে যেতো। এর ক’দিন পর তিনি ইন্তেকাল করেন। নিবর্তনের এসব কাহিনী বা ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা কি একুশ শতকে বাস করছি না উত্তর কোরিয়ার কোন সমাজে জংলী বানরের মতো লাফঝাপ করছি তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। ডিজিএফআই বা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমার দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে কিছুটা হলেও দেখেছি। আমি এই উপমহাদেশের একমাত্র সাংবাদিক যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাবেক ছয় প্রধানের স্বাক্ষাতকার নিতে পেরেছিলাম বহু কাঠখড় পুড়িয়ে। প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতাও আমার হাত দিয়ে এদেশে যাত্রা শুরু করেছে নব্বই দশকে। সেনাবাহিনী থেকে স্বাস্থ্যগত কারনে অবসর নেয়ার পর আমি স্ব ইচ্ছায় সাংবাদিকতায় আসি। তখন সঙ্গতকারনেই সেনাবাহিনীর অনেক দায়িত্ববান সিনিয়র দেশ ও সেনাবাহিনীর স্বার্থে আমার সহযোগিতা চাইতেন। ডিজিএফআইও এর ব্যতিক্রম নয়। জাতীয় স্বার্থে যতোটুকু পারি করেছি। তখন কাছে থেকে অনেক সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে দেখার সুযোগ হয়েছে,তাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বেসামরিক অফিসার হিসাবে লিজেন্ড বলে খ্যাত জনাব রহমতউজ্জামান, জনাব জাফর, জনাব শফিক ও জনাব মশিউরের নাম এখানে উল্লেখ করতে পারি। জনাব শফিক একটি ব্যুরোর পরিচালক হয়ে অবসরে গিয়ে গত বছর ইন্তেকাল করেছেন। বাকি তিন জন বেঁচে আছেন। তাঁরা ছিলেন পেশাদার,দেশপ্রেমিক। দেশের বাইরেও দায়িত্ব পালন করেছেন সীমিত সামর্থ নিয়ে অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে। ১৯৯১ সালে মায়ানমার যখন আমাদের সীমান্তে আক্রমন করে তখন জনাব মশিউরের পোস্টিং ছিল রেঙ্গুনে। তিনি টু দি পয়েন্ট যাবতীয় ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল পরিকল্পনায় বিশেষ অবদান রাখেন।
আমার সৌভাগ্য হয়েছে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লে. জেনারেল নাসিম, বীর বিক্রম; মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান,বীর বিক্রম; মেজর জেনারেল এম এ মতিন, বীর প্রতীক; মেজর জেনারেল এম এ হালিম, মেজর জেনারেল নজরুল ইসলামের মতো প্রথিতযশা সামরিক কর্তাদের ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে আসার।এনারা প্রতিজনই দেশপ্রেমিক। একজন তো একবার রাজনৈতিক বসদের বলে বসেছিলেন-আমি কোন দলের ডিজিএফআইয়ের ডিজি নই, বাংলাদেশের ডিজিএফআইয়ের ডিজি। তাহলে আজ কেন মেজর জেনারেল ইবরাহিমের মতো বীর প্রতীককে সেনাকুঞ্জে যেতে দেয়া হয় না? কেন জেনারেল মোস্তাফিজকে পিএনজি হতে হয়? কেন অসম সাহসী প্রবাদপ্রতিম মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ বীর বিক্রম, মেজর শাহজাহার বীর উত্তম, মেজর জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু, ব্রিগেডিয়ার খালেকুজ্জামান, কর্নেল ওলিকে সশস্ত্রবাহিনী দিবসে দাওয়াত দেয়া হয় না? কেন তাদের বিজয় দিবসের প্যারেডে আমরা দেখতে পাই না? কেন এমন মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু রাজনৈতিক কারনে এভাবে অপমান,অপদস্থ করা হয়? মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলবেন, আর এমন কিংবদন্তী তূল্য মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করবেন তা কোন আচার? কোন ভব্যতা? কোন গোয়েন্দাবৃত্তি? ডিজিএফআইতে বর্তমানে যিনি ডিজি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন তিনি একাডেমিতে আমার তিন কোর্স জুনিয়র ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ একজন সেনা কর্মকর্তা। আমি বিশ্বাস করতে চাই না তিনি ওই পদে কর্মরত থাকাবস্থায় এমনসব আজগুবি কিন্তু অনাকাংখিত ঘটনা ঘটবে। নীচের দিকে যেসব সিভিলিয়ান কর্তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তারা অতি উৎসাহে হয়তো এসব করছে।তারা জেনারেল ইবরাহিমকে কি চিনে? হয়তো , হয়তো না! তবে তিনি যে সরকার বিরোধি রাজনীতি করেন এটা ঠিকই জানে! এটা তাদের হৃদয়ে বসে থাকা ক্রমাগত প্রচারণার তরঙ্গে বিশেষ অপরাধ বৈকি! কিন্তু তাদের উর্ধতন সেনা কর্তারা কি দায়িত্ব এড়াতে পারেন? তারা তো সামরিক জীবনের প্রতি পদে মুক্তিযুদ্ধ, ডিগনিটি,অনার,দেশপ্রেম নিয়ে পড়ে এসেছেন। সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধাদের চিনেন, অন্তত না দেখলেও চেনা তো উচিত। তারা যদি গনতন্ত্র কি জিনিস না বোঝেন তাহলে তাদের সিনিয়রদের দায়িত্ব একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রক্রিয়া শিখিয়ে দেয়া। এসব হয় না বলেই জেনারেল মোস্তাফিজ অপমানিত হন, জেনারেল ইবরাহিম হন বিব্রত ।একুশ শতকে এসে এভাবে চলতে পারে না। গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোন রাজনৈতিক দলের আদর্শ বাস্তবায়ন করা নয়। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে অবশ্যই তার ত্বত্ত তালাশ করবে গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু রাজনীতিবিদদের কোন আন ল’ফুল বা অবৈধ আদেশ মানতে কি সামরিক কর্মকর্তারা বাধ্য? না। এটা সামরিক আইনেই আছে। এসব লংঘন করলে তার পরিণাম কোন না কোন সময় হীতে বিপরীত ঘটনার জন্ম দেয়।হয়তো তার আলামত আমাদের অভিজ্ঞ কর্তারা উপলব্ধি করতে পারছেন।
আজ পরিস্থিতি এমনি যে, দীর্ঘদিনের কলেজ মেট, ক্যাডেট কলেজের রুমমেট, সেনাবাহিনীর একসময়কার সহকর্মীর সাথেও কথা বলা যায় না। পাছে কে কি ভাবে? কতো যে রিপোর্ট আমার নামেই হলো তার কি শেষ আছে? ক্যাডেট কলেজে দীর্ঘদিনের রুমমেট যখন এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল হলো তখনও তাকে শুভেচ্ছা জানাতে দশবার ভেবেছি। আমি বিরোধি মতের। যদি বেচারার অসুবিধা হয়? নিজ কোর্স মেট লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়েছেন কয়েকজন যাদের একজন ছাড়া বাকি দু’জনই আর্মি নম্বরে আমার নীচে। তারপরও কারো সাথে যোগাযোগ করা হয় না। কে যে কোন কথাকে কি মিন করে, কোন দেখা সাক্ষাতকে ষড়যন্ত্র বানিয়ে দেয় আল্লাহ মালুম। এ কি অসহনীয় সমাজ আমার তৈরি করছি? খেয়াল আছে কারো? সবাইকেই তো পরতে হবে এই কুয়োয়। জেনারেল মোস্তাফিজও তাতেই পড়েছিলেন। তাঁর দল ক্ষমতায় এসে এসবের কোন সুরাহা তো করেইনি,বরং যাকে পছন্দ নয় তার বিরুদ্ধে এক গাদা বানোয়াট অভিযোগ বানিয়ে দিয়েই বিশাল সেবা করে যাচ্ছে!
তারপরও বলবো আমি অন্তত জানি, কতো অসুবিধা,চাপের মুখে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক চাপ এড়ানো বেশ কষ্টসাধ্য। ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে অতি উৎসাহী হতে, জেনারেল ইবরাহিমের সেনাকুঞ্জ যাত্রা বাধা দিতে নিশ্চয়ই কোন শীর্ষ রাজনীতিবিদ নির্দেশ দেননি!