গ্রুপ পর্বে আর খেলতে পারবেন না নেইমার
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: চোটের পর প্রশ্ন উঠেছিল কত ম্যাচের জন্য ছিটকে যাচ্ছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ নিশ্চিত করেছে- গ্রুপ পর্বে আর মাঠে নামতে পারছেন না নেইমার। সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না তার। তবে শেষ ষোলো থেকে নেইমারকে পাওয়ার আশা করছে ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারকে নয়বার ফাউল করা হয়। ৬৭তম মিনিটে শক্ত চোট পান তিনি। সার্বিয়ান ফুলব্যাক মিলেনকোভিচের কড়া ট্যাকেলে ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যায় নেইমারের। এর ১৩ মিনিট পর পিএসজি তারকাকে তুলে নেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায় নেইমারকে। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার ম্যাচশেষে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বেঞ্চেই আমরা চিকিৎসা শুরু করেছি। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হবে। আগামীকাল (আজ) আরেকবার চোটের অবস্থা দেখা হবে। আমরা অপেক্ষা করছি। আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ ব্রাজিল কোচ তিতে আশার বাণী শুনিয়ে বলেন, ‘নিশ্চিত থাকতে পারেন সে বিশ্বকাপে খেলবে।’ তবে ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো জানায়, চোট সারিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগতে পারে নেইমারের। চোট কতটা মারাত্মক তা নিশ্চিত হওয়ার পর সেরে ওঠার সময়টা নির্ধারণ করা হবে। পরে গ্লোবো নিশ্চিত করেছে, নকআউট পর্বের ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না নেইমার।
ব্রাজিলের অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি সোসাইটির (এসবিওটি) নির্দেশনা অনুযায়ী নেইমারের চোটের তীব্রতাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত গোড়ালির লিগামেন্টে টান পড়লে সেটি গ্রেড ওয়ান ইনজুরি। দ্বিতীয়ত লিগামেন্ট আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রেড টু ইনজুরি। তৃতীয়ত লিগামেন্ট পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি গ্রেড থ্রি পর্যায়ের ইনজুরি। হাঁটতে কষ্ট হলে এবং গোড়ালিতে হাড়ের জোড়ায় ব্যথা অনুভব করলে এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। এসবিওটি’র মতে, আঘাত মাঝারি মাত্রার হলে পুরোপুরি সুস্থ হতে এক থেকে দুই সপ্তাহ প্রয়োজন হতে পারে। নেইমারের চোট মাঝারি মানের। এ কারণেই ব্রাজিলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ মিস করবেন নেইমার।
২০১৯ সালে কাতারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ডান পায়ে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। পা মচকে যাওয়ায় কোপা আমেরিকা খেলতে পারেননি তিনি। তখন ডাক্তাররা জানিয়েছিল নেইমারের গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। সুস্থ হয়ে উঠতে নেইমারকে তখন ক্রাচ ব্যবহার করতে হয়েছে। পায়ের ওপর ভর দিতে পারতেন না তিনি। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে একই জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন নেইমার। ২০১৪ বিশ্বকাপেও চোটের কবলে পড়ে ছিটকে যান নেইমার। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মেরুদণ্ডের চোটে পড়েছিলেন তিনি। সেই ইনজুরি সারিয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস লেগেছিল নেইমারের।
২৮শে নভেম্বর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিল খেলবে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে। ২রা ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন। নেইমার না থাকায় তার জায়গায় খেলানো হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদের উদীয়মান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোকে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews