গোপালগঞ্জে রোডমার্চে হামলার অভিযোগ আমীর খসরুর
মঙ্গলবার বিকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলায় এক পথসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
প্রথম নিউজ, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলায় রোডমার্চে হামলার অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখানে হামলা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। হামলা করে অধিকার কেড়ে নেয়া যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নিবে।
মঙ্গলবার বিকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলায় এক পথসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। এরআগে সকালে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ মোড়ে প্রথম পথসভা, রাজবাড়ী সদর থানার বসন্তপুর মাঠে দ্বিতীয় সভা, ফরিদপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে তৃতীয় এবং ফরিদপুর নগরকান্দার তালমা মোড়ে ৪র্থ পদসভায় অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টা ১৮ মিনিটে শরীয়তপুরের উদ্দেশে রোডমার্চের গাড়ি ছাড়ে। এসময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু তা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রোডমার্চে অংশ নিয়েছেন। এতে সভাপতিত্ব করেন রোডমার্চের দলনেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। ওরা কোন দিন নির্বাচন করতে পারবে না। জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে। ভোট চুরির দিন শেষ জনগণের বাংলাদেশে। আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ তারা আর এখন রাজনৈতিক দল নাই। নেতাকর্মীদের শুধু ভোট চুরি ও দখলদারী শিখিয়েছে। তিনি বলেন, মানুষ জেগে উঠছে কোন শক্তি এটাকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। বিশ্ব বিবেকও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আছেন।
'সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে’ এই রোডমার্চের আয়োজন করে দলটি।
১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। রোডমার্চটি রাজবাড়ী গোয়ালন্দ মোড় থেকে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর হয়ে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। রোডমার্চে রড দিয়ে ঘেরা জেল খানার আদলে তৈরি খাঁচার মধ্যে একটি শিশু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো সাজগোজ করে বসে আছেন। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সকল নেতাকর্মীদের দৃষ্টি যায় সেদিকে। মাদারীপুরের মস্তফাপুর পথ সভার পরে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
ইতিমধ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে রোডমার্চ। নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। ট্রাক, মাইক্রোবাস ছাড়াও কয়েক শত মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। মাথায় ব্যান্ড, ক্যাপ পড়ে, রং-বেরংয়ের গেঞ্জি গায়ে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী রোডমার্চে অংশ নিয়েছেন। এসময় তারা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
সরকার পতনে একদফার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানে ১৫ দিনের কর্মসূচি করছে বিএনপি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ কর্মসূচি ৫ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।