গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ: যুবদল সভাপতি
মৌলভীবাজারে যুবদলের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায়
প্রথম নিউজ মৌলভীবাজার : বাংলাদেশে বর্তমানে একটি অবৈধ দখলদার বাহিনী চেয়ার দখল করে আছে। এই অবৈধ দখলদার মুক্ত করা এখন বাংলাদেশের জনগণের দায়িত্ব। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি। আর বিএনপি অধিকাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে বলেই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, মানুষের অধিকার রক্ষায়, মানুষের ভবিষ্যতের জন্য এই অবৈধ দখলদার বাহিনী থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে। সে জন্য আমরা আজকাল একটা সংগ্রামে আছি। এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন করছে। প্রতিটি মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তাই আমরা চাই বাংলাদেশকে এই অবৈধ দখলদার থেকে মুক্ত করা। এই সরকার গণতন্ত্র হরণকারী হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নাই।
গণতন্ত্রও নাই এটা বিশ্ববাসী জানে। অতএব আমাদের ঈমানী দায়িত্ব এই অবৈধ স্বৈরাচারি সরকারের কবল থেকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জনগণকে মুক্ত করা। আমি কথা দিতে পারি যখন এই দখলাদার বাহিনীর থেকে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করব তখন প্রতিটি গুম, খুন ও ব্যাংক লুটের বিচার করা হবে। সমস্ত লুটপাটের বিচার করা হবে। তারা অবৈধ ও অন্যায় ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের, নির্যাতন করেছে, জেল খাটিয়েছে মামলা দিয়েছে। তার প্রতিটিরই বিচার করা হবে ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে যুবদলের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন এফবিসিসিআই- এর সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি (সিলেট বিভাগ) ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র কি এই সরকারের কাছে নিরাপদ ? এই অবৈধ দখলদার সরকারের হাতে দেশ, জাতি ও দেশের সম্পদ রক্ষিত নয়। তাই গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয় থাকব।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড.এনামুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি খালেদা রব্বানী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান দিপু সরকার,সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক রয়েল,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মর্যাদা)এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান আকন্দ, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, সহ-সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, সদর উপজেলা সভাপতি হাফেজ আহমদ মাহফুজ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর মো. শওকত, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ কয়েছ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এছাড়া ৪ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা, পৌর শাখার নেতকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি সভায় আলোচনা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর রুহের মাগফিরাত কামনা, বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও স্বৈরাশাসকের কবল থেকে দেশবাসীর মুক্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়।