গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০৯ জনে

গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০৯ জনে

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ইসরায়েলি বিমান ও সেনা বাহিনীর গত তিন মাসের অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত সাংবাদিকদের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ১০৯ জনে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর।

সর্বশেষ গাজায় নিহত হয়েছেন এএফপির সাংবাদিক মুস্তফা থুরায়া এবং আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল দাহদোহের ছেলে হামজা ওয়ায়েল আল দাহদৌহ। বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় যেসব ঘৃণ্য অপরাধ করছে, সেসবের মধ্যে অন্যতম হলো সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো।

‘যুদ্ধের সংবাদ ও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা থামাতেই সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে,’ বলা হয়েছে সরকারি মিডিয়া দপ্তরের বিবৃতিতে।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনী প্রতিষ্ঠানকে সজাগ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া দপ্তর।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। তার মধ্যে গত শনিবার নিহত হয়েছেন ১২০ জন।

আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৩ মাসের অভিযানে নিহত বাস্তুহারা হয়েছেন অন্তত ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে এখনও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন ১২৯ জন জিম্মি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং গাজাকে পরিপূর্নভাবে নিরস্ত্রীকরণ করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।