খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছবেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন।
সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ট্রাফিক পুলিশেরও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রিয় নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
তাদের কারো হাতে রয়েছে প্লেকার্ড সম্বলিত শুভেচ্ছা বার্তা, দলীয় পতাকা এবং ব্যানার।
বিমানবন্দরের সামনের সড়ক সকাল ৮টার আগেই নেতা-কর্মীদের পদচারণায় ভরে উঠেছে।
নেত্রীকে স্বাগত জানাতে শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন ঢাকা উত্তর যুবদল কর্মী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রিয়মুখ, প্রিয় নেত্রীর আগমন আমাদের আনন্দ দিচ্ছে। ভোরেই চলে এসেছি।
নেত্রীকে একনজর দেখতে চাই। জানান দিতে চাই আপসহীন দেশনেত্রী, পাশে আছে পুরো দেশ।
কাপাসিয়া থেকে আসা শাহরিয়ার কবির বলেন, ফজরের নামাজ পড়েই রওয়ানা দিয়েছি। প্রায় তিন মাস নেত্রীর দেখা নেই, অসুস্থ ছিলেন। প্রতিদিন তার জন্য দোয়া-খায়ের করেছি।
সৃষ্টিকর্তার মেহেরবানীতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরছেন, এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। আজ সেই আপসহীন নেত্রীকে ফুলেল শুভেচছা জানাতে চাই।
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডনের কিংস্টনের বাসা থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে হিথরো বিমানবন্দরে যান। এরপর সেখানে তাকে বিদায় জানান। এ ছাড়া দলীয় চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য ও লন্ডন বিএনপির নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খালেদা জিয়া এবং তার দুই পুত্রবধূকে বরণে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। অঙ্গ সংগঠনগুলোকে ১১টি স্পটে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই ধারে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
গুলশানে খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’র ভেতরের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। সামনের সবুজ আঙিনায় ফুলগাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনরা সব কিছু তদারকি করেছেন।
এছাড়া জুবাইদা রহমান দেশে ফিরে প্রথমত শাশুড়ির সঙ্গে গুলশানে তার বাসা ফিরোজায় যাবেন। পরে তিনি ধানমণ্ডিতে তার পৈতৃক বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ থাকবেন। সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসা ধানমণ্ডির ৫ নম্বর সড়কে এই ‘মাহবুব ভবন’। এখানে এখন তার সহধর্মিণী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবার বসবাস করেন। বয়োবৃদ্ধ সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছোট মেয়ে জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসে বাবার বাসায় উঠবেন বলে বাসার নিরাপত্তা ও সাজসজ্জা করা হয়েছে।