কুষ্টিয়ায় ১১ দিনেও নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের খোঁজ মেলেনি
থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি পরিবার
প্রথম নিউজ, হাসানুল কবির নাজির কুষ্টিয়া: দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সজীব (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।নিখোঁজের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। সজীবকে সাথে করে নিয়ে যাওয়া আত্মস্বীকৃত অভিযুক্ত জামিরুল (৩০) এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা,উদ্বিগ্নতা আর দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে নিখোঁজ সজীবের পরিবার।
সজীব কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক খয়বার আলীর মেজো ছেলে ও ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
চলতি মাসের প্রথম দিন শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে সজীব বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় কৃষক বাবা সম্ভাব্য সকল স্থান ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোজাখুজি শেষে মিরপুর থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয় এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু অভিযোগ করেও এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি তার পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সজীব ঘটনার দিন দুপুর ১ টার দিকে কারো সাথে মুঠোফোনে কথা শেষ করে গ্রামের একটি মুদি দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।ওইদিন রাত হলেও বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের সদস্যরা তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পায়। পরদিন প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারে সজীবকে একই উপজেলার পোড়াদহ ( তেঁতুলতলা) গ্রামের মৃত মুনারের ছেলে জামিরুল (৩০) সাথে করে নিয়ে গেছে। সজীব যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা জামিরুলের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিলে তিনি সজীবকে সাথে করে নিয়ে গেছেন এবং সজীব তার সাথেই ছিলো বলে স্বীকার করেন।কিন্তু কোথায় নিয়ে গেছেন আর কোথায় ছিলো এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেন না।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গার নাম বলেন।এরপর সজীবের পরিবারের সাথে দেখা করার কথা বলে তিনি তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এবিষয়ে সজীবের বাবা খয়বার আলী বলেন,"জামিরুল আমার নাবালক ছেলের মস্তিষ্ক ধোলাই করে নিয়ে গেছে। সে এখন আমার ছেলের সন্ধান দিচ্ছে না। এক সপ্তাহ হলো থানায় অভিযোগ করেছি। এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি।এবিষয়ে জানতে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম কে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।