কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলবাসী আতংকের নাম উজ্জ্বল সরদার
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জ্বল সরদার এক আতংকের নাম। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উজ্জ্বল সরদারের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা গত বুধবার বিকালেও শরিফুল ওরফে ভ্যালস মালিথা ও বজলু মালিথা নামে দুই নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর পর থেকে তার বিচারের দাবিতে ফুসে ইঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এক সময়ের লালচাঁদ বাহিনী সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড উজ্জ্বল সরদার। সরজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা মরিচা ইউনিয়ন। এলাকাবাসীর অভিযোগ উজ্জ্বল সরদার বিগত সরকারের সময় ওই দলের একজন চিহ্নিত ক্যাডার ও স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লালচাঁদ বাহিনীর সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। সরকার পরিবর্তন হলে তিনি কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন পরে দেশের বাইরে চলে যান। বছর পাঁচেক আগে এলাকায় ফিরে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং এর পর থেকে আবারো এলাকায় হয়ে উঠেন বেপরোয়া।
এরই মাঝে উজ্জ্বল সরদার এলাকার বালুঘাট দখল করে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন। পাশাপাশি তিনি এলাকায় নতুন করে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।
উজ্জল সরদার তার শক্তির জানান দিতেই গত বুধবারের এই জোড়া খুন। খুনের ঘটনায় নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হোসেন বাদী হয়ে উজ্জ্বল সরদারকে আসামি করে ৩২ জনের নামে গত বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতপুর থানায় জোড়া খুনের মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।