পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভোগান্তি
অর্থ বরাদ্দ না থাকায় থেমে আছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ।
প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী: অর্থ বরাদ্দ না থাকায় থেমে আছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ। ইতোমধ্যে ৮টি ভবনের কাজ শেষ হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় সেগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম ও বসবাস করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থের সংস্থাপন হলেই ভবনগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয় সরকার। ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল, ডাক্তার ডরমিটরি, স্টাফ নার্সেস ডরমিটরি, ইমার্জেন্সি স্টাফ ডরমিটরি, কম্বাইন্ড কোয়ার্টার কলেজ ও হাসপাতালের জন্য, পানি সরবরাহ লাইন, বিদ্যমান প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের ফিনিশিং কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ৮টি ভবনের কাজ ৯৮ থেকে ৯৯ ভাগ শেষ হলেও আরডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় পানি ও বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে নির্মাণ করা ভবন ব্যবহার উপযোগী হচ্ছে না।
এছাড়া মসজিদ, জিমনেসিয়াম ভবন, প্রিন্সিপাল এবং পরিচালকের বাস ভবন,প্লে-গ্রাউন, টিচিং মর্গ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, পাম্প হাউজ এবং জেনারেটর, গার্ডেন ফেন্সিং, গ্যারেজ ও পাবলিক টয়লেট, গারবাজ, ল্যান্ড স্কাপিং, বহির্বিদ্যুৎ, সাইকেল স্টান্ড, কালভার্ট/ড্রেনেজ ইত্যাদি, ওয়াস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান, স্টোর/গোডাউন, ওয়াটার বোর্ড /পুকুর খনন আরডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় দরপত্র আহ্বান করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। গণপূর্ত বিভাগ জানায়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজের বেশ কিছু অঙ্গ ডিপিপি অনুযায়ী ইন্ডিয়া লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা ছিলো। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় ইন্ডিয়া ক্রেডিটের পরিবর্তে জিওবি এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কথা আছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমা বলেন, আমি বর্তমানে তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত আছি। সেই প্রথম বর্ষ থেকে গণরুমে বসবাস করছি। অন্য মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে সিঙ্গেল রুম পায় কিন্তু বাধ্য হয়ে এখনও গণরুমে বসবাস করছি। টিনশেট হোস্টেল হওয়ায় বৃষ্টি পড়ে, শীতের দিনে প্রচুর শীত। সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত নতুন হোস্টেলে স্থানান্তর করা হোক। তৃতীয় বর্ষের অপর শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের মেডিকেল কলেজের পড়াশোনার পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন আমাদের মেডিকেল কলেজের পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি হয়।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্বাস ফয়েজ বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত পড়াশোনার গতি বৃদ্ধি ও আবাসিকের সুযোগ নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হলে পূর্ণ একাডেমি পরিবেশে পাঠদান ও মানসম্মত থাকার ব্যবস্থা হবে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত ভবন হস্তান্তর ও দরপত্র আহ্বান করে নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: