ক্রিকেটারদের ফোন দিয়ে যা বলেছেন সাকিব
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : বিশ্বকাপ শেষের আগেই দেশে ফিরতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময় আঙুলের চোটে পড়ে ছিটকে যান টাইগার এই অধিনায়ক। এরপর থেকেই বিশ্রামে রয়েছেন সাকিব। যে কারণে খেলা হচ্ছে না আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তবে দলে না থাকলেও ক্রিকেটারদের ফোন করে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। দিয়েছেন ভালো খেলার টোটকাও।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগের দিন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে আজ সোমবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সাকিবকে মিস করবেন কি না এবং কোনো পরামর্শ পেয়েছেন কি না যা অধিনায়কত্ব করতে সুবিধা হয়।
এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, 'আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব, সব খেলোয়াড়ই মিস করবে। গতকাল রাতেই সাকিব ভাই ফোন করেছিলেন, তার সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাইকে উইশ করেছে। সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন আমরা যেমনটা পারি সেটাই যেন করি আমরা।'
উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব। নিজ জন্মভূমি মাগুরা ১ থেকে লড়বেন টাইগার এই অধিনায়ক। পূর্ণকালীন রাজনীতি করলে অবশ্য সাবিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এর প্রভাব পড়ার কথা। সেক্ষেত্রে দুই জায়গায় সমানতালে চালিয়ে যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়বে তার জন্য। যে কারণে আর কত বছর ক্রিকেট খেলবেন সাকিব, এটাও এখন বড় প্রশ্ন! কী হবে তার ক্রিকেটের ভবিষ্যতের।
অবশ্য বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সাকিব জানিয়েছিলেন নিজের অবসরের কথা। কত সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান। ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলাটা চালিয়ে যেতে চান টাইগার অধিনায়ক। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি খেলতে চান ২০২৪ সাল পর্যন্ত। সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, 'আজকে এখন এই অবস্থায় বলছি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলবো। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় দেবো। টেস্টের অবসর শিগগিরই। তবে একেক ফরম্যাট একেক সময় ছাড়লেও আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা করবো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর।'
এদিকে, গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ দল। যে কারণে সবার মনেই একটা ধারণার জন্ম হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটেও কী তাহলে এমন ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন দেখা যাবে। অবশ্য সেই বিষয়ে বিস্তারিতই জানিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত।
তিনি বলছিলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি পরীক্ষা নিরিক্ষার সুযোগ নেই। ব্যাটিং অর্ডার বা বোলিংয়ে কোন সময় কে বল করবে আমার মনে হয় না খুব বেশি পরিবর্তন হয়। আশা করব যে এই জিনিসগুলো একইরকম থাকবে। যে অধিনায়কত্ব হোক বা যেই কোচিং স্টাফ হোক তারা এই বিষয়ে নিয়ে খুবই অবগত আছেন। মনে হয় না খুব বেশি টেস্ট ক্রিকেটে পরিবর্তন হবে।'