কনস্টেবল শওকত হোসেনকে বরখাস্ত প্রসঙ্গে যা বললো সিএমপি

সিএমপি জানিয়েছে, সাবেক কনস্টেবল মো. শওকত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

কনস্টেবল শওকত হোসেনকে বরখাস্ত প্রসঙ্গে যা বললো সিএমপি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিত মো. শওকত হোসেনের চাকরিচ্যুতি নিয়ে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপি জানিয়েছে, সাবেক কনস্টেবল মো. শওকত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রচার মাধ্যমে তার অতীতের কার্যক্রমের বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও কী কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে সে বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি গত ৯ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত কর্মস্থলে (বন্দর বিভাগ, সিএমপি) ইচ্ছাকৃতভাবে গরহাজির থাকেন। কোন যৌক্তিক কারণ এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে গরহাজির থাকা যেকোন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য গর্হিত অপরাধ, যা চূড়ান্ত অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর আদেশে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিস থেকে গত ১৩ই মার্চ ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলায় বদলি করা হলে তিনি কুমিল্লায় যোগদান করেননি এবং রহস্যজনকভাবে গরহাজির থাকেন। তার গরহাজির সম্পর্কে কোন তথ্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেননি। পরবর্তীতে পহেলা মার্চ ২০২৩ সালে অর্থাৎ ৩৫৩ দিন পরে কুমিল্লা জেলায় যোগদান করেন। বস্তুত তিনি ৪২৪ দিন কর্মস্থল থেকে গরহাজির থাকেন। কুমিল্লা জেলায় গরহাজির থাকায় তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলায় গরহাজির হওয়ার প্রতিবেদনে অসুস্থতাজনিত কারণে হাজির না হওয়ার কথা বললেও কোন চিকিৎসা সনদ উপস্থাপন করতে পারেননি।

তবে তিনি চাকরিতে গরহাজির থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই হাজির ছিলেন এবং তাকে কোন সময়ই শারীরিকভাবে অসুস্থ মনে হয়নি। যিনি এক বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে গরহাজির থাকেন, তিনি পুলিশের মতো একটি শৃঙ্খলা বাহিনীতে সংযুক্ত থাকতে পারেননা বলেই প্রতীয়মান হয়। এহেন অপেশাদার, শৃঙ্খলা বহির্ভূত কার্যক্রমের পরেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে তা প্রশাসনিকভাবে খারাপ নজির হিসেবেই গণ্য হতো। তাছাড়া তিনি নিজেই অভিযোগের ব্যাপারে আত্মসমর্থনমূলক বক্তব্যে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে অভিহিত করেন। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় এবং মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন।

কনস্টেবল শওকত এর বিরুদ্ধে গৃহীত বিভাগীয় ব্যবস্থার সাথে তার অতীত কর্মকাণ্ড সম্পৃক্ত করে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।