মেগাপ্রকল্প ঘিরে সড়কে ভয়াবহ জনদুর্ভোগ
যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বর্ষা গেলেই মেট্রোরেল, বিআরটি ও যাত্রাবাড়ী-ডেমরা ছয় লেনসহ মেগাপ্রকল্পগুলোকে ঘিরে সড়কের ভোগান্তির অবসান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মেগাপ্রকল্পগুলোর কাজের যে ধীরগতি তাতে মন্ত্রীর কথায় আশার আলো দেখছেন না নগর ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেয়ার মতো যোগ্য লোকের অভাবেই এমন ভোগান্তি।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। ২০১৬ সালে তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট খ্যাত এই মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ফার্মগেট থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এখনও চলছে নির্মাণ কাজ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত গেলো ৫ বছরে যে ভোগান্তি ছিল ঠিক তেমনি অসহনীয় ভোগান্তি ও দুঃসহ সময় কাটাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষকে।
অপরদিকে মেট্রোরেলের ভোগান্তি অবসানের সম্ভাবনা দেখা দিলেও বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যা পিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রজেক্টের কাজ কবে শেষ হবে তার কোন সঠিক উত্তর নেই কারো কাছেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, জনগণের ভোগান্তি কমানোর সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো প্রণয়নের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে কোন বিকল্প চিন্তা আদৌ করা হয়েছিল কিনা প্রশ্ন আছে সেটা নিয়েও।
নগরবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে, নয়তো জনদুর্ভোগ কমবে না। দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করা ছাড়া জনদুর্ভোগ কমানোর আর কোন বিকল্প এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বর্ষা গেলেই অধিকাংশ মেগাপ্রকল্পের কাজের ভোগান্তি কমবে। এ ভোগান্তি সাময়িক। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এসব মনে থাকবে না। জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করে মেগাপ্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।