কণ্ঠশিল্পী মমতাজ যেভাবে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছেন

কণ্ঠশিল্পী মমতাজ যেভাবে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছেন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সাবেক সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমের রিমান্ড শুনানি ঘিরে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে তাকে আদালতে আনা হয়। পরে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাকে। বিকাল ৩টা ৩ মিনিটে তাকে এজলাসে তোলা হয়। মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেছেন, মমতাজ গানের ভালোবাসা দিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সোমবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় মঙ্গলবার তাকে আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে আবেগপ্রবণ। একজন ফুটবলার ভালো খেললে আমরা তার খেলাটাই দেখি। তাকে পছন্দ করার কারণ তিনি ভালো খেলেন। তেমনিভাবে নায়িকার অভিনয়, শিল্পীর ভালো গান আমরা পছন্দ করি। তারা কোন দল করে সেটা দেখা হয় না। তাদের কাজটাকে আমরা ভালোবাসি।’

তিনি আরও বলেন, এই আসামি জনগণের ভালোবাসাটাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব যখন আরেক রাষ্ট্রের কাছে জিম্মি; গুম, আয়নাঘর, আন্দোলন করলেই যখন গুলি করা হয়, তখন এই মমতাজ গানের ভালোবাসা দিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করে গেলেন। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের মানুষের ভোট হরণ করলেন। সংসদের অধিবেশনে যেখানে মিনিটে কোটি টাকা খরচ হয় সেখানে তিনি গান গাইলেন— ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা, সারা বিশ্বে নাই তার তুলনা।’ সংসদে তোফায়েল, আমুসহ অন্য সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারা যেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে কটু কথা বলেননি, সেখানে তিনি বক্তব্য রাখলেন ‘খালেদার বাপের নাম কি?’