এটা খুবই সাধারন ব্যাপার। কূটনৈতিক শিষ্টাচার। বিএনপি বড় দল। ভারতের দূতের সাথে ইফতারে কেন বসবে না? আবার এমনভাবে ছবি ছড়ানো হচ্ছে যে, ভারতের দূতের সাথেই কেবল ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলছে নেতারা! আবার রাষ্ট্রদূতদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে চীনের রাষ্ট্রদূতকে নাকি দাওয়াত দেয়া হয়নি বা তিনি আসেননি এমন আজগুবি প্রচারও চলছে।
সবার জ্ঞাতার্থে বলি- চীনের কোন কূটনীতিক কোভিড পরিস্থিতির কারনে কোথাও যান না। যে কেউ তাদের ঢাকাস্থ দূতাবাসে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। সব বন্ধ। কারো ঢোকা নিষেধ। এটা তাদের সরকারি নির্দেশ।
আর কতো পায়রবি করবে বিএনপি? অন্যরা পেয়েছে কি? সোনার নৌকা নিয়ে দৌড়ানো দেশের জন্য দরদ কতো দেখাব?প্রকাশ্যে তো ওই দেশ পক্ষ নিয়েই ফেলেছে।গত বছর নিষেধাজ্ঞা আসার পর তড়িঘড়ি করে রীতিমতো উন্নয়নের জোয়ারের পক্ষে দাড়িয়েছে! কোন বিপদে বিএনিপি’র পাশে তারা ছিল?
এদিকে, বিএনপি নেতাদের ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে ইফতার পার্টির সময় কথা বলার ছবি এমনভাবে ছড়ানো হচ্ছে যে মহা পাপ করে ফেলেছে বিএনপি! দল বিক্রি করে দিয়েছে! একজন হাইকমিশনারকে দাওয়াত দেয়ার পর তিনি এসেছেন তার সাথে কথা বলাও যাবে না? অন্যসব আমন্ত্রিতদের সাথেও তো কথা বলেছেন সবাই। মার্কিন,বৃটিশ,ইইউ দেশের সব রাষ্ট্রদূত এসেছেন। সেসব ছবি দিয়ে কি বলা হবে বিএনপি সবার দালাল? এসব কি? সাধারণ কূটনীতি কি বোঝেন না?
নাকি যারা বিএনপি’কে আজীবন চীনের ছাতার ছিল মেরে সবার থেকে দূরে ঠেলে দিতে চান তাদের উদ্দেশ্যই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ওই সব ছবি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে?
আরো বলা হচ্ছে যে বিএনপি’র ইফতারে নাকি কোন মুসলিম দেশের প্রতিনিধি আসেননি! বাহ! সবাই তো এসেছিলেন। কারা এসব প্রচার করছেন? কেন?
যে দলটি দেশ চালিয়েছে কয়েকবার তারা কি প্রত্যক্ষ শত্রু তৈরি করবে বার বার? আর মার খাবে? আবার তখন হলুদিয়া পাখি ব্যবসা করবে আরামসে সেই ‘শত্রুর’ বন্ধুর সাথে? ভেবে দেখেন...বহুত তো হলো। বন্ধুত্ব কতোটুকু হলুদিয়া পাখি দেখিয়েছে তা কি আরো দেখার ইচ্ছে আছে? যারা এসব প্রচার করছে তারা কারা? বোঝা দরকার।কাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে তাতে? যাদের স্বার্থ রক্ষা হবে প্রচারকারীরা তারাই...
ভারত, মার্কিনকে চটানোর যুদ্ধ বিএনপি করবে কেন? যারা হলুদিয়া পাখির ওই চটানো কর্মকান্ড করবে তারা হবে তারাই যারা সব সুবিধা নিয়েছে। কি ঠেকা বিএনপি’র বা অন্যদের হলুদের পক্ষে অন্য দেশের শত্রুতা করার? বলেন!!!