এক্সরে করে দুই রোহিঙ্গার পেটে মিলল ৪৫০০ পিস ইয়াবা
প্রথম নিউজ, নোয়াখালী: নোয়াখালীতে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতর মাদক নিয়ে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীতে আসা দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের পেট থেকে ৪ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বেগমগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আক্কাস আলী মিয়ার নতুন বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দুই সহযোগী মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (২৯) ও একই ক্যাম্পের মৃত আবদুল করিমের ছেলে মো. রফিক ওরফে বাইলা (৪০)। তাদের সহযোগীরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের মেয়ে কামরুন নাহার (২৫) ও মো. ফরহাদের স্ত্রী বিবি আয়েশা (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল ও রফিক দীর্ঘদিন ধরে পায়ুপথে ইয়াবা নিয়ে এসে নোয়াখালীতে সরবরাহ করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা জাহিদুল ও রফিককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এক্সরে করে তাদের পেটে থাকা ইয়াবার কথা নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর ওষুধ সেবনের মাধ্যমে মোট ৪ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় দুটি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশেরু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের বাসিন্দা পলাতক আসামি ইউনুস দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জাহিদুল ও রফিকের মাধ্যমে নোয়াখালীতে ইয়াবা সরবরাহ করতেন। নোয়াখালীতে তাদের আব্দুর রহিম ও ফরহাদ নামে দুই পেশাদার মাদক কারবারি সহযোগিতা করে আসছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ট্যাবলেট বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানা ও জেলায় বিক্রি করে আসছেন। আসামিরা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। আজ দুপুরে তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।