এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার নিয়ে আসতে চাই: মির্জা ফখরুল
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী ও তার মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা জানি এই সরকার সহজে যাবে না, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। দেশের মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, সেজন্য আমরা দেশের মানুষকে সংঘটিত করে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘটিত করে এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার নিয়ে আসতে চাই।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী ও তার মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাথমিকভাবে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে আসার জন্য সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩৫ লাখ লোকের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে একটি জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমান সরকার— যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, যাদেরকে তুলনা করা যায় একমাত্র পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন হত্যা গুম খুন করে এ দেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল একইভাবে আজকে এই অবৈধ অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তারা তাদের ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসনকে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন সাধারণ নেত্রী নন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠান একটি ইনস্টিটিউশন। সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার জীবনটাই গড়ে তুলেছেন গণতান্ত্রিকভাবে, এদেশের মানুষকে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও মুক্ত করবার জন্য তিনি লড়াই করে চলেছেন। অথচ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা কর্মী চলে গেছে আমরা তাদের ফেরত পাইনি। আমি এই মিলাদ মাহফিল থেকে দাবী করছি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই সমস্ত ঘটনা সঠিক তদন্ত করা হোক। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরো উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews