"এই অপশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে'
শফিউল আলম প্রধানের স্বরণ সভায় বক্তারা
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ২৩ সালের মধ্যে সরকার পতন ঘটাতে হবে, এজন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন যুগপৎ আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেছেন, আজকে স্যাংশন নিয়ে সরকার নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমেরিকার কূটনীতি এতো দূর্বল নয় যে স্যাংশন দিবে আর সরকার আগে জানবে, এটা হতে পারে না। মুলত গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে উসকে দিতে চাইছে সরকার। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। এখনো সময় আছে, ভালোই ভালোই চলে যান। তা না হলে করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ এই অপশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ রোববার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধান এর ৬ষ্ঠ মৃতুবাষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্বরণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। জাগপার সভাপতি ব্যারিষ্টার তাসনিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রধান বক্তা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতীক), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন একরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, এনডিএমের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হিরা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাগপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, শামীম আক্তার পাইলট, সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, সাবেক জাগপা নেতা মোঃ হাসমত উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল হালিম, মোঃ নাসির উদ্দীন, যুব জাগপা'র সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজকের রাজনীতি ও ১৫ বছর আগের রাজনীতি এক নয়। রাজনীতির মৌলিক ও গুনগত পরিবর্তন হয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও রিজোন্যাল পলিটিক্স এক হয়ে গেছে। আজকে গনতন্ত্রের টুটি চেপে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে দেশে গণতান্ত্রিক ও মোলিক অধিকার বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের আগ্রাসন রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের রাজনীতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। রাজপথে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের নামার আহবান জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, শফিউল আলম প্রধান দুর্নীতি বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সত্যিকারের অর্থে স্বাধীন সাবভৌমত্ব বাংলাদেশ চেয়েছেন। তার মৃত্যুর পর আজ দুই ভাগে বিভক্ত জাগপা। তরুন প্রজন্ম সহ জাগপা নেতৃবৃন্দের তার আর্দশ মেনে চলার আহবান জানান। জামায়তের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে সবাই মাঠে আছে, শুধু একটি জায়গা শূন্য আছে। জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে আপনাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান দেশবাসীর কাছে তার বাবা ও মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার জন্য আবারো যদি মুক্তিযোদ্ধা ও রাজপথে রক্ত দিতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত আছে জাগপা। আন্দোলনের সামনের কাতারে থাকবে জাগপা। আমাদের দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনা সরকারের পতন। সামনে কঠোর আন্দোলনের বিপদ সংকেত আসছে, তখন আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম আজকে রাজনীতিতে শফিউল আলমের মতো সাহসী নেতা দরকার। দিনে গরম বক্তব্য রাতে আপোষ করলে আন্দোলন জমবে না। সরকারকে কেয়ারটেকার সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে হবে, সেই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী সরকার ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। আর ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এতে পাকাপোক্ত থাকবে তা বাতিল করে। আজকে জনগণ কেয়ারটেকার সরকার দাবি নিয়ে আবারও রাজপথে নেমেছে।