ইসরায়েলের ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংসের দাবি হামাসের
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাহিনীর ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে উপত্যকায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড।
হামাসের সমর্থক ফিলিস্তিনি টেলিভিশন চ্যানেল আল আকসা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি জানিয়েছেন ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার আল আকসা টিভিকে উবেইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে আমরা তাদের ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করেছি। এগুলোর অধিকাংশই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শত শত বেসামরিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় তার।
জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সে অভিযানে এখনও চলছে।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার।
বুধবারের সাক্ষাৎকারে আবু উবেইদা বলেন, ‘জিম্মিদের নিয়ে আসার পেছনে আমাদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল এবং আমর তা জানিয়েছি। আমরা বলেছি যে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হলে আমরা জিম্মিদেরও মুক্তি দেবো।’
‘আমরা নিজেদের সদিচ্ছা বোঝাতে ইতোমধ্যে ১২ জন জিম্মিকে ছেড়েও দিয়েছি। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে প্রতিদিন বোমা হামলা করছে, তা আসলে এই জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় বাধা।’
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প জানিয়ে আবু উবেইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর বিধ্বংসী হামলা ও ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও আল কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধার এখনও তাদের সঙ্গে সাহসের সঙ্গে লড়ছে এবং পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে এই লড়াই চলছে। এটা চলতে থাকবে।’