ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ চেয়ে বৃটিশ ৬০ এমপি ও লর্ডসের চিঠি

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধে এবার সরব হলেন বৃটেনের উভয় কক্ষের এমপি ও লর্ড। দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানির ধারা বন্ধে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চান তারা। এনিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের কাছে একযোগে চিঠি দিয়েছেন ৬০ এমপি ও লর্ডস। ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধে এবার সরব হলেন বৃটেনের উভয় কক্ষের এমপি ও লর্ড। দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানির ধারা বন্ধে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চান তারা। এনিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের কাছে একযোগে চিঠি দিয়েছেন ৬০ এমপি ও লর্ডস।
১৮ জুলাই এই চিঠি মন্ত্রীদ্বয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই খবর প্রকাশ করেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করলে বৃটিশ সরকার গণহত্যায় সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে। সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির লাইসেন্স ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার দাবিও জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালে ইসরাইলে বৃটিশ অস্ত্র রপ্তানির তথ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক্সপোর্ট কন্ট্রোল জয়েন্ট ইউনিটের তথ্যমতে, সে বছর ১৪১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। এর অর্ধেকের বেশি সরাসরি ইসরাইলে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ইস্যুকৃত বলে মনে করা হয়।
চিঠির প্রেরকদের মতে, ইসরাইল গাজায় যে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে তার ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ বৃটেনের তৈরি। বৃটিশ রপ্তানি লাইসেন্স ছাড়া সেগুলো উড়ত না, বোমা ফেলত না। বৃটিশ সরকার এর আগেই ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ ২৭টি দেশের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে ইসরাইলের নিন্দা জানিয়েছে এবং গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আহ্বান জানায়।
তাই এবিষয়ে শুধু নিন্দা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধই এখন একমাত্র উপায় বলে জানানো হয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও সম্প্রতি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে না এলে ভবিষ্যতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞার পথ সরকার খোলা রাখছে। ইসরাইলের প্রতি বৃটেনের এ অবস্থান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, বৃটিশ সরকার আইনপ্রণেতাদের এ চাপের কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়।