ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার অন্তত দুটি সশস্ত্র ড্রোন মার্কিন এই সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ইরাকের নিরাপত্তা ও সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিটি আল-আনবার গভর্নরেটে অবস্থিত। এই বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সৈন্যরাও রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিনই এই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছে ইরাকের ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো।
ইরাকের একাধিক সূত্র বলেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে এই হামলায় কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মঙ্গলবার মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর আগে, রোববার এই গোষ্ঠী মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। সোমবারও চারটি কাতিউশা রকেট ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে নিক্ষেপ করা হয়। সোমবারের হামলায় ঘাঁটিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও সৈন্যদের ওপর কমপক্ষে ২০ বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইরাকের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি এবং সিরিয়ায় আল-তানফ ঘাঁটিতে দুটি হামলায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর অন্তত ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের বিরোধে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করায় ইরানের সাথে সংশ্লিষ্ট ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে মার্কিন স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দেয়। এই হুমকির পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে রকেট ও ড্রোন হামলা বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় ও ইরানের মদদপুষ্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী এসব হামলার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছেন পেন্টাগন মুখপাত্র।