ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ফেরত চাইলে মামলার হুমকি

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন কাজী ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জোর করে বেশ কয়েকজনের জমি দখল করেছেন। সেই জমিতে তিনি ইট, বালু ও পাথর রেখেছেন।

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ফেরত চাইলে মামলার হুমকি

প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলায়েত হোসেন কাজীর বিরুদ্ধে জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, ইউপি সদস্যের কাছে জমি ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাজুড়ে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন কাজী ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জোর করে বেশ কয়েকজনের জমি দখল করেছেন। সেই জমিতে তিনি ইট, বালু ও পাথর রেখেছেন। এমনকি সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে তুলেছেন স্থায়ী বসতঘর। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলেই ভুক্তভোগী পরিবারকে হয়রানি করার জন্য দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা। 

স্থানীয়রা বলেন, এক সময় বেলায়েত ঢাকায় থাকতেন। সেখানে তিনি মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে তার ভিডিও ভাইরালও হয়। এরপরই তিনি চলে আসেন মাদারীপুর নিজ বাড়িতে। এরপর থেকেই হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বেলায়েত আমার জমি দখল করে আছে। আমি তার ভয়ে কিছু বলতে পারি না। কিছু বলতে গেলে আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, তার হাত থেকে আমার জমি রক্ষা করে দেওয়া হোক।

আরেক ভুক্তভোগী মালেক মোল্লা বলেন, এই জমি আমাগো বাপ-দাদার আমল থেকে ভোগ করে আসছি। আমাদের দলিল আছে। বেলায়েত কোথা থেকে একটা ভুয়া আরএস রেকর্ড করে আমাগো জমি দখল করে রাখছে। কিছু বললেই মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি আমার জমি ফেরত চাই।

ভুক্তভোগী আলতাব মুন্সি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বেলায়েত বালুর ব্যবসা করার কথা বলে আমার জায়গা কিছু দিনের জন্য ভাড়া নেয়। এখন সেই জায়গা ছাড়ছে না। ছাড়তে বললে জানায়, ওই জমি নাকি তার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন কাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করে ঢাকা অবস্থান করছেন বলে এড়িয়ে যান।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom